বন্যা ও ঝড়ে প্রসব বেদনায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকা থেকে গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে নৌকায় করে হাসপাতালে ছুটে যান সুমন মিয়া (৩৫)। পথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নৌকা আটকে যায়। এরপর জেলা প্রশাসকের সহায়তায় সুমন মিয়ার স্ত্রী জামিলা বেগম (২৭) নিজ কার্যালয়ে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ওই রাতেই মা ও নবজাতককে দেখতে যান জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করলে জেলা প্রশাসক তাকে বিষয়টি জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগে জন্ম নেওয়া শিশুটির নাম রাখেন নূহ আলম প্লাবন।
সুনামগঞ্জ, ২০ জুন- বন্যায় নৌকায় যাওয়ার সময় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে। সেই নবজাতকের নাম রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দিনের আলো দেখল সুমন মিয়া-জামিলা বেগম দম্পতির সন্তান। পরে রাতে মা ও নবজাতককে দেখতে যান জেলা প্রশাসক। জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করলে জেলা প্রশাসক তাকে বিষয়টি জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগে জন্ম নেওয়া শিশুটির নাম রাখেন নুহ আলম প্লাবন। সোমবার জেলা প্রশাসক মো. এ তথ্য জানিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নবজাতক বন্যাকে নতুন পোশাক, মশারি, তেল, লোশনসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে মা ও নবজাতকের অবস্থা ভালো রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার জেলা প্রশাসক মো. এ তথ্য জানিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নবজাতক বন্যাকে নতুন পোশাক, মশারি, তেল, লোশনসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে মা ও নবজাতকের অবস্থা ভালো রয়েছে। সুমন মিয়া ও জমিলা বেগমের বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে। জমিলার বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকায়। সন্তান জন্ম দিতে জগন্নাথপুর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে সুনামগঞ্জে আসেন সুমন মিয়া। তিনি একটি ভাড়া মাইক্রোবাসের চালক। এই দম্পতির আরেক ছেলে তাহসিন মিয়া রয়েছে।