সম্প্রতি যশোর শিক্ষা বোর্ডের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় হিসাব সহকারী আব্দুস সালামকে প্রধান অভিযুক্ত করে দুদকে একটি অভিযোগ দাখিল করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। আর এই অভিযোগের আলোকে রীতিমতো তদন্ত চালায় দুদক। তবে এরই মধ্যে জানা গেছে, নিজের বিরুদ্ধে আসা এ অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন আব্দুস সালাম। এমনকি দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া এই টাকা ফিরিয়ে দেয়ারও দাবি করেছেন তিনি।
একই সঙ্গে ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার একটি পে-অর্ডার বোর্ডের সচিব বরাবর নিজ স্ত্রীকে দিয়ে পাঠিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। চিঠিতে বাকি টাকা ফেরত দিতে সময় চেয়েছেন তিনি।
এদিকে দুদক বলছে, চিঠি দিয়ে এভাবে দায়মুক্তির কোনো সুযোগ নেই। তদন্তে এ দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত সবার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি কোষাগারে জমার জন্য আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ১০ হাজার ৩৬ টাকার ৯টি চেক ইস্যু করে। ওই ৯টি চেক জালিয়াতি করে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের নামে ১ কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ১০টাকা এবং শাহী লাল স্টোরের নামে ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আর এ ঘটনায় অভিযোগ দাখিলে একপর্যায়ে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান অভিযুক্ত হিসাব সহকারী আব্দুস সালামের স্ত্রী বোর্ডের প্রধান ফটকে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে বোর্ডের সচিব বরাবর লেখা একটি চিঠি ও একটি পে-অর্ডার দিয়ে যায়।
বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমির হোসেন জানান, চিঠিতে দুর্নীতির সব দায় সালাম একা স্বীকার করে নিয়েছে এবং ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার একটি পে-অর্ডার দিয়েছে। বাকি টাকাও দিয়ে দেবে বলে উল্লেখ করেছে।
চেয়ারম্যান জানান, আজ বোর্ডের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে এবং সালামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে এ ব্যাপারে দুদক যশোরের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদিকদের জানান, তারা চিঠি দেওয়ার কথা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছে। তবে চিঠি দিয়ে এভাবে পার পেয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি জানান, তদন্তে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।