থানায় ছাত্রলীগের তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে মা”রধরের ঘটনায় পুলিশের রমনা বিভাগ থেকে বদলি হওয়া অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে।
আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ তথ্য জানান।
এর আগে রোববার দুপুরে পুলিশ জানায়, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এরপর সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার বিচার দাবি করেন।
ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দুই ছাত্রলীগ নেতার বৈঠকের পর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত শনিবার রাতে শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) কক্ষে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ মার”ধরের নেতৃত্ব দেন বলে বিক্ষু”ব্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা গিয়ে আহত নেতাদের থানা থেকে উদ্ধার করে।
পুলিশের হাতে মা”রধরের শিকার তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যরা চিকিৎসার জন্য হলে ফিরে যান।
গতকাল সকালে মা”রধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে এডিসি হারুন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী নেতাদের। আজিজুল ছাত্রলীগ নেতাদের ডেকে পাঠান।
এদিকে ঘটনা তদন্তে রোববার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) এর নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।