দুবাইগামী বিমানে বাংলাদেশী যাত্রীর লাগেজে অপ্রত্যাশিত বস্তু, পালালেন যুবক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি টাকা) জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগ এবং ঢাকা কাস্টম হাউস প্রিভেন্টিভ টিম। বৃহস্পতিবার সকালে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ঘটনার সময়ে জব্দ লাগেজের মালিককে ঘটনাস্থলে খুজে পাওয়া যায়নি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয় কোটি টাকার সৌদি রিয়াল জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস। যাত্রীর হোল্ড ব্যাগেজ স্ক্রিনিং রুমে ফ্লাইট স্ক্যানার দিয়ে লাগেজ স্ক্যান করা হলে মুদ্রাটি পাওয়া যায়। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে যাত্রী মামুন খান তার লাগেজ বিমানবন্দরে রেখে পালিয়ে যান। মামুন খান বুধবার (২৯ জুন) রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (EK 585) একটি ফ্লাইটে দুবাইতে চেক ইন করলেও অভিবাসন ছাড়াই বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে যান। ঢাকা কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ আবদুস সাদেক জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এ সময় তার লাগেজে টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু খোঁজাখুঁজি করেও লাগেজের মালিক মামুনকে পাওয়া যায়নি।

পরে এভিয়েশন সিকিউরিটি ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তার সহায়তায় লাগেজটি কাস্টমস হলে এনে অন্যান্য সংস্থার উপস্থিতিতে খুলে দেওয়া হয়। লাগেজে থাকা ৩১টি শার্টের ভেতরে কাগজের বোর্ডের মাঝখানে বিশেষ পদ্ধতিতে মুদ্রাগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। যাত্রীর সন্ধান না পাওয়া গেলেও এমিরেটস কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও এভিয়েশন সিকিউরিটির সহায়তায় লাগেজের সাথে লাগানো ট্যাগ থেকে যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায় লাগেজের মালিক ইমিগ্রেশন সম্পন্ন না করেই বিমানবন্দর ত্যাগ করেন বলে জানান তিনি। লাগেজ থেকে জব্দ করা সৌদি রিয়ালের পরিমাণ ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০। জব্দ করা বৈদেশিক মুদ্রা শুল্ক গুদামে জমা করা হবে। জব্দকৃত বৈদেশিক মুদ্রা ও লাগেজ ট্যাগের তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর থানায় ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা জানান, কাস্টমস আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ঘটনার দিন রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে দুবাইগামী মামুন খান নামে এক যাত্রী চেক ইন করেন। রিয়ালগুলো তার লাগেজে লুকিয়ে রাখা ছিল। তল্লাশির সময় ধরা পড়লে গ্রেফতার এড়াতে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ না করেই তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।