শামীম ইস্কান্দার হলেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই। দুর্নীতি যেই করুক না কেনো কাউকেই ছাড় দেওয়া হয় না। অপরাধ দমন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। কিছু স্বার্থন্বেশী মানুষেরা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ঘটিয়ে থাকে অপরাধমূলক কর্মকান্ড। সম্প্রতি জানা গেছে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আপিল বেঞ্চ এ আদেশে বলেছেন, মামলাটি আদালতে নেওয়ার পর আসামি চাইলে উচ্চ আদালতে আসতে পারেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আপিল বেঞ্চ এ আদেশে বলেন, মামলাটি আদালতে নেওয়ার পর আসামি চাইলে হাইকোর্টে আসতে পারেন। আদালতের এই আদেশের ফলে শামীম ইস্কান্দারের বিরুদ্ধে মামলা বিচারিক আদালতে চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে শামীম ইস্কান্দারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন একেএম ফজলুল হক। এর আগে গত সপ্তাহে শামীম ইস্কান্দারের আপিল শুনানির জন্য ১২ জুন দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। ২০০৭ সালে শামীমকে সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৫ মে রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন সংস্থা।
মামলায় শামীম ও তার স্ত্রী হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনও নেন। এরপর শামীমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে হাইকোর্ট মামলাটি স্থগিত করেন। পরে আপিল বিভাগও তা বহাল রাখেন। ২০১৬ সালে, মামলা খারিজ করার জন্য শামীমের আবেদন হাইকোর্ট শুনানি শেষে খারিজ করে দেয়। এরপর শামীম ও তার স্ত্রী আপিল বিভাগে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল (লিভ টু আপিল) করেন। রোববার আবেদনের ওপর শেষ রায় দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতি করা যেন মানুষের দৈনন্দিন কাজ হিসেবে দাড়িয়েছে। আর যার কুপ্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর। সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ হলো একটি দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়া।