সৌরভ ও তামান্না উভয়েই বাকপ্রতিব’ন্ধী। মনের কথা মুখে প্রকাশ করতে পারেনা তাদের কেউই। তারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন শুধুমাত্র লিখনের দ্বারা। কিন্তু তাদের দুজনের মন খুজে নিতে পেরেছে একে অন্যের মনের ভালোবাসা। তাদের সেই প্রেম শেষ পর্যন্ত বিয়েতে গড়িয়েছে।
একে অপরে নিজেদের জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পেয়েছেন সৌরভ ও তামান্না। কিন্তু অন্যদের মতো নয় তাদের গল্প অনেক ভিন্ন। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে’সবুকের মাধ্যমে একে অপরকে ‘আবিষ্কার’ করতে সক্ষম হয়। এই প্ল্যাটফর্মেই তাদের দুজনের পরিচয় ঘটে। সেখান থেকেই তাদের মনের লেনদেন শুরু রবং শেষ পর্যন্ত বিয়ে। তবে তাদের বিয়ের আয়োজনে পরিবারের কমতি ছিল না। তারাও খুশি।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে যশোরের বাঘারপাড়ায় কনের মামাবাড়িতে জমকালো আয়োজনে বিয়ে সম্পন্ন হয় এই যুগলের। বর ঝিনাইদহ জেলার চরবর্ণী গ্রামের রেজাউল করিমের বড় ছেলে শামীমুর রহমান সৌরভ এবং কনে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সদুল্যাপুর গ্রামের প্রয়াত সৈয়দ কেয়ামত হোসেনের মেয়ে তামান্না খাতুন। তারা দুজনেই জন্ম থেকে কথা বলতে পারেন না।
জানা গেছে, সৌরভের বন্ধুরাই এ বিয়ের ঘটক। তারাই কনের ছবি সৌরভকে দেন। ফে’সবু’কে চলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। দুজনের পছন্দ হওয়ায় পারিবারিক ভাবে দেখাদেখির পর বিয়ে সম্পন্ন হয়।
সৌরভ-তামান্নার এই বিয়ে নিয়ে এলাকাবাসীর কৌ’তুহলের শেষ নেই। বিয়ের আয়োজনও ছিল জমকালো। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় বর-কনে ছিল হাস্যোজ্জ্বল। ভাগ্নির বিয়ের আয়োজনের কোনো কমতি রাখেননি মামা বাঘারপাড়ার কসমেটিক্স ব্যবসায়ী এনামুল কবির।
পারভীন খাতুন যিনি কনে তামান্নার মা তিনি বলেন, ‘আমার বিয়ে হয় নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বাবলা নামক একটি গ্রামে। অনেকদিন ধরে সাদুল্যপুরে বাবার বাড়িতে রয়েছি। আমার একমাত্র মেয়ে তামান্না এখানে ইন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছে এবং এখান থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর খুলনার গোয়ালখালী প্রতিবন্ধী স্কুলে পড়াশুনা করা শুরু করে। সেখান থেকে সে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে। বর্তমানে আমার মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী।’
এনামুল হোসেন যিনি তামান্নার মামা তিনি বলেন, ‘তামান্না আমাদের সকলের নিকট খুব প্রিয় একটি মেয়ে। আমি কখনই ভাবতে পারিনি যে, তাদের মতো দুজন মানুষ একে অপরকে পাবে। ছেলেটি খুব ভালো শিক্ষিত। তারা যাতে খুব সুখী হয় সেই দোয়া পাওয়ার জন্য গ্রামের লোকজনকে দাওয়াত দিয়ে বিয়ে সফল করবার চেষ্টা করেছি। ‘