বলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি অজয় এবং কাজল একসাথে এবং আলাদাভাবে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। বলিউডের তারকারা যেখানে তাদের সংসার টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খায়, সেই সময় এই তারকা দম্পতি একসাথে দীর্ঘদিন ধরে একই ছাদের নিচে থেকে বেশ সুখে সংসার করে যাচ্ছেন। তাদের ভালোবাসার বন্ধন এখনো অনেক মজবুত। তারকা দম্পতিদের ঘর ভাঙ্গার বিষয়টি যেখানে হারহামেশাই দেখা যায় সেখানে এই দম্পতি একটি মাইলফলক হয়ে রয়েছেন। আজ থেকে প্রায় দুই যুগ আগে ‘হালচাল’ সিনেমার সেটে দেখা হয়েছিল কাজল এবং অজয়ের। এরপর কিভাবে তাদের মধ্যে রসায়ন গড়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত তারা সংসার জীবন শুরু করেন কীভাবে, সেসব বিষয়ে খোলসা করেছেন কাজল।
জানা যায়, অজয়ের বাড়ি ছিল জুহুতে, আর কাজল থাকতেন দক্ষিণ বম্বেতে। প্রায় একসঙ্গে চলাচল করতেন তারা। ফলে দু’জনের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল গাড়িতে। কখনও কেউ কাউকে প্রপোজ করেননি। এক সময় নিজেরা বুঝতে পারেন সম্পর্কের পরিণতি দেয়ার সময় হয়েছে। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুজন।
কিন্তু বেঁকে বসেছিলেন কাজলের বাবা। মেয়ের সঙ্গে ৪ দিন কথা বলেননি তিনি। মেয়েও নাছোড়বান্দা। অবশেষে বিয়ে হলো। সংবাদমাধ্যমের চোখে ধূলো দিয়েছিলেন অন্য জায়গার ঠিকানা দিয়ে। প্রথমে পাঞ্জাবী, পরে মারাঠি মতে বিয়ে হয় অজয়-কাজলের। তবে বিবাহ বাসরে ঘটে মজার ঘটনা। এতো লম্বা বিয়ে চলছে দেখে অজয় পুরোহিতকে বারবার বলেছিলেন তাড়াতাড়ি সাত পাক শেষ করতে। এমনকি এর জন্য পণ্ডিতকে ঘুষও দিতে চান অজয়।
কাজলের বরাবরের ইচ্ছে ছিল লম্বা হনিমুনের। প্রথমে সিডনি তারপর হাওয়াই, লস অ্যাঞ্জেলস। ৫ সপ্তাহ হানিমুন শেষে ফেরার নাম করেননি কাজল।
এক সময় এসে কাজল এবং অজয় তাদের সংসারে একজন অতিথি নেয়ার ব্যাপারে চিন্তা করেন। ‘কাভি খুশি কাভি গম’ ছবির ছোট শুটিং চলাকালীন সময়ে প্রেগন্যান্ট হয়েছিলেন অজয় পত্নী কাজল। কিন্তু যে দিনটিতে ‘কাভি খুশি কাভি গম’ ছবিটি মুক্তি পায়, সেই সময় হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাজল। চিকিৎসকেরা জানায় যে, তার সন্তান গর্ভাবস্থায় নিথর হয়েছে। পরবর্তীতে আরো একটি সন্তান ধারণ করে কাজল কিন্তু সেই অনাগত সন্তানও পৃথিবীর আলো দেখার আগেই বিদায় নেন। সেই কষ্টকে আজও বুকে ধারণ করে বয়ে বেড়াচ্ছেন এই তারকা দম্পতি।