যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এক যুবক এ যুবতীর প্রেমে পড়ে এটা প্রকৃতির শুরু থেকে হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এক মেয়ে আর এক মেয়ের প্রেমে পড়ে নিজের ঘর ছেড়ে অন্য মেয়ের কাছে ছুটে এসেছেন এমন ঘটনা বাংলাদেশে বেশ বিরল। এই ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় তাদেরকে আইনের আওতায়ও নেয়া হয়েছিল।
অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই কিশোরকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ২২ মার্চ ( March ) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদে দুই পরিবারের অভিভাবকদের সাথে বৈঠক করে তরুনীদের কাছ থেকে মুচলেকা সংগ্রহ করে পুলিশ। একই সাথে, অভিভাবকদের সতর্ক করা হয়েছে যাতে তারা আর যোগাযোগ করতে না পারে।
এর আগে রোববার ২০ মার্চ ( March ) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলে এক কিশোরী প্রেমিকের বাড়িতে চলে যায় নোয়াখালী ( Noakhali )র এক কিশোর। এরপর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম বিজু ( Shamsul Alam Biju ) বলেন, মি. সমস্যা সমাধানের জন্য ইউএনও আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। পরে দুই কিশোরের পরিবারের অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সেখানে অভিভাবকদের মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে পরিবারের কাছে। তিনি আরও বলেন, দুই কিশোরের পরিবারকে সতর্ক করা হয়েছে যাতে তারা আর যোগাযোগ করতে না পারে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন ( Nahida Parveen ) জানান, ইউএনও নোয়াখালী ( Noakhali )র সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটির পরিবারের খোঁজ পাওয়া গেছে। তখন ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধান করতে বলা হয়। তিনি তাদের বাবা-মায়ের বন্ধন রক্ষা করেন এবং দুই কিশোরকে বুঝিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নোয়াখালী ( Noakhali ) সদর ও টাঙ্গাইলের বাসাইল ( Basail Tangail ) উপজেলার দুই কিশোরের সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে রোববার দুজনের মধ্যে ফোনে কথা হয়। পরে সন্ধ্যার পর নোয়াখালী ( Noakhali )র ওই কিশোর আরেক মেয়েকে নিয়ে টাঙ্গাইলে চলে যায়।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। তাদের দেখতে দলে দলে মানুষ ভিড় জমায়। দুই কিশোরের স্বজনরাও জানিয়েছেন, সংসার শুরুর সিদ্ধান্তে তারা হতবাক।
এসজেড/অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই কিশোরকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ( Tuesday ) (২২ মার্চ ( March )) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বাসাইল ( Basail Tangail ) উপজেলার ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদে দুই পরিবারের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা সংগ্রহ করে তাদের জানানো হয়। একই সাথে, অভিভাবকদের সতর্ক করা হয়েছে যাতে তারা আর যোগাযোগ করতে না পারে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন জানান, ইউএনও নোয়াখালীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটির পরিবারের খোঁজ পাওয়া গেছে। তখন ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধান করতে বলা হয়। তিনি তাদের বাবা-মায়ের বন্ধন রক্ষা করেন এবং দুই কিশোরকে বুঝিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় নোয়াখালী সদর ও টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসিন্দা দুই কিশোরীর। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে রোববার তাদের দুজনের ফোনে কথা হয়। এরপর সন্ধ্যায় নোয়াখালীর কিশোরী টাঙ্গাইলে চলে আসে অপর কিশোরীর কাছে।
উল্লেখ্য, জানা গেছে এই দুই কিশোরী গত দুই বছর ধরে যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিল।এক পর্যায়ে তারা এক সঙ্গে থাকার সিন্ধান্ত নেয়।গত রোববার ফোন আলাপের মাধ্যমে তারা দিড়ো প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়ে গ্রহত্যাগ করেন।এরপর তারা দুই জনে টাঙ্গাইলে চলে যায়।তাদের এই খবর মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সারা এলাকায়। তাদের দেখতে বিপুল পরিমান উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।