বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়ন এলাকায় দুই ছেলে এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে তাদের মাকে মারধর করার অভিযোগে উঠেছে। জানা গেছে, তিনজন মিলে তার মাকে ১০০ বার জুতাপেটা করেছে। গত শনিবার অর্থাৎ ১২ নভেম্বর ঐ ইউনিয়নের কালবিলা নামক গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানান। ইতিমধ্যেই বাবা-মাকে মা”রধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আহ’ত মা সরস্বতী মন্ডল (৬০) ওই গ্রামের বিষেশ্বর মন্ডলের স্ত্রী। তিনি উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাম”লাকারীরা হলেন দুই ছেলে শ্যামল মণ্ডল, অমল মণ্ডল ও অমল মণ্ডলের স্ত্রী মুক্তা মণ্ডল। এর আগে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মা”রধরের অভিযোগ করার পর শনিবার সন্ধ্যায় আবারও মা”রধর করা হয়।
২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কৃষ্ণ কান্ত বাড়ই জানান, দুই ভাই তাদের বাবা-মাকে প্রায় মা”রধর করে। এর আগেও মা”রধর করেছে। আমি ও চেয়ারম্যান তাদের একসঙ্গে রাখার চেষ্টা করেছি। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে’সবুকে মা”রধরের ভিডিও দেখে স্থির থাকতে পারিনি। মাকে এভাবে মা”রধর কেউ সহ্য করবে না।
হারতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অমল মল্লিক জানান, দুই ছেলেকে মা”রধরের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছেন। এ সময় দুই ছেলেকে খবর দেওয়া হয়। পরে একই দিনে ওই দুই ছেলেকে ডেকে শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। অভিযোগ দেওয়ায় দুই ছেলে মাকে পিটিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত মা জানান, বড় ছেলে অমল মণ্ডলের স্ত্রীর সঙ্গে ছেলে বিমল ও শ্যামল মণ্ডলের অবৈধ সম্পর্ক আছে। এ বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এতে করে আমাকে মা”রধর করেছে। মা”রধরের বিচার চেয়ে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে শনিবার সন্ধ্যায় তারা আমাকে টেনেহিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং ১০০ জুতাপিটা করে’।
এ ঘটনার বিষয়ে কামরুল হাসান যিনি উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, খবর পাওয়ার পর অবিলম্বে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে যে ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা কোনভাবেই কাম্য নয়।