ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং নির্যাতনকারী এডিসি হরুন অর রশিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী জানান, এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। গত রাতে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতনে আহত দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীকাল সে আমাকে বিনা অপরাধে নির্যাতন করবে। তাই আমরা এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এডিসি হারুনকে জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা মানুষকে রক্ষা না করে নির্যাতন করছে। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারীর কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কখনোই কাম্য নয়। তাকে চাকরিচ্যুত করা উচিত। কারণ সে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় রমনা থানার এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়।
আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বৈজ্ঞানিক বিষয়ক সম্পাদক ও ডিএইচএবি শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, রমনা থানার এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনসহ ১০-১৫ জন পুলিশ তাদের মারধর করে। নাঈমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মুখ খারাপভাবে ক্ষতবিক্ষত ছিল।
ঘটনার বর্ণনায় ছাত্রলীগ নেতারা জানান, শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে পুলিশের ৩১ ব্যাচের এডিসি হারুন আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। মহিলা কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা।
এডিসি হারুনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ কারণে পুলিশ ডেকে তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন চালায়।