সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি সর্বদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এ কারণে সরকার তাকে টার্গেট করে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে বলে অভিযোগ অনেকের । তিনি বর্তমানে জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল হাজতের বাহিরে আছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ থাকার কারনে ভারতে জাওয়ার জন্য সম্প্রতি আদালতের কাছে আবেদন করেন এবং তা মঞ্জুর করে আদালত । এহ পর্যন্ত সব ঠিক ছিলো। যখন তিনি ভারত যাওয়ার জন্য বিমান বন্দরে যায় তখনি বাধে লঙ্কাকান্ড।
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে মেডিকেল চেকআপের জন্য ভারতে যেতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তাকে কোন কারণ না দেখিয়েই আটকে দেয়া হয় বলে জানান মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। গত বছর ভারতের একটি হাসপাতালে কিডনির টিউমার অপারেশন শেষে গত ডিসেম্বরে দেশে ফিরেন তিনি। নিয়মিত মেডিকেল চেকআপের জন্য আজ সকালে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, হাইকোর্টের কাগজপত্র ও চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাকে যেতে দেয়া হয়নি। আমি একজন অসুস্থ রোগী বলার পরও উপরের নির্দেশ আছে জানিয়ে আমাকে তারা যেতে দেননি। ইমিগ্রেশন থেকে কোন কারণ বলেননি, কোন লিখিত কাগজও দেয়নি। বরং আমি সব কাগজপত্র ইমিগ্রেশনে জমা দিলেও সোয়া দুই ঘণ্টা বসিয়ে রেখে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এই ঘাটনা সম্পর্কে বিমান বন্দর থেকে স্পষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। আসলেই কি কারন দেখিয়ে ভারত যেতে বাধাঁ প্রদান করা হয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা দাবি করছে এটা আওয়ামী লীগের কারসাজি যাতে আলাল বাইরে যেতে না পারে।