বিগত ( Past ) কয়েক দিন যাবত দুই কিশোরীর প্রেমের বাস্তব গল্প সিনেমাকেও হার মানায়। সাম্প্রতিক সময়ে যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অনেক উৎসুক জনতা তাদের এক নজর দেখার জন্য তাদের কাছে ছুটে আসে। ওই কিশরিদের নাম বিলকিস ( Bilkis ) ও আঁখি।
যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয় এবং এক পর্যয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর ধরে চলে তাদের প্রেম। অবশেষে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তাই সোমবার ( Monday ) (২২ মার্চ) রাতে ( night ) নোয়াখালী ( Noakhali ) থেকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় চলে আসেন বিলকিস ( Bilkis )। গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশের পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
যদিও দুই কিশোর বর্তমানে তাদের নিজ নিজ পরিবারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে, তবে তাদের সম/কামিতার খবর ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হওয়ায় এবং তাদের পরিচয় ব্যাপকভাবে প্রচার করায় তাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই কিশোরকে নিয়ে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করায় এমন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী ( Afsan Chowdhury ) বলেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম দুই কিশোরের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতাকে আমলে নেয়নি, যা তাদেরকে সমাজে অনিরাপদ করে তুলতে পারে।
তিনি বলেন, নাম প্রকাশ করে যেভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সত্যিই বিস্ময়কর। এদেশে বিভিন্ন মতের মানুষ হ /ত্যার নজির রয়েছে। তাদের দ্বারা রিপোর্ট করা দুই কিশোরের মধ্যে কোন সম্পর্ক নষ্ট হলে কে দায়ী হবে?
তবে টাঙ্গাইলের বাসাইলের ( Basail Tangail ) ফুলকি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলম জানান, তার এলাকার মেয়েটির নিরাপত্তার দায়িত্ব তার। অন্যদিকে নোয়াখালী ( Noakhali )র প্রশাসন ওই তরুণীর (বিলকিস ( Bilkis )) তদন্ত করবে।
শামসুল আলম বলেন, আমার কাছে মনে হয় তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কিন্তু বাকি খবর আসে তা আমি কখনো ভাবিনি। এরপরও প্রশাসনের সহায়তায় উভয় পরিবারের লোকজন এসে কথা বলে আমরা নোয়াখালী ( Noakhali ) থেকে মেয়েটিকে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করি।
গবেষক আফসান চৌধুরী ( Afsan Chowdhury ) উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দুই মেয়ে ও তাদের পরিবারের নাম কোনোভাবেই প্রকাশ করা উচিত হয়নি।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ, সম্পাদক ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনতাকে এদেশে স্বাধীনতা বলে। সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার বিষয়টিও গণমাধ্যমের বিবেচনায় নেই। এই দুই তরুণীর অধিকার বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এখন তারা কোনো ঝামেলায় পড়লে দায় কার হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ( Bangladesh ) সম/কামিতা সমর্থন করে না। এদেশে সম /কা‘মিতার অধিকার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করার জন্য জীবন হানির মত ঘটনাও মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত। এ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালে সম /কামি অধিকার নিয়ে কাজ করছিল জুলহাজ মান্নান ( Julhaj Mannan ) ও মাহবুব তনয়।যার ( Mahbub Tanay ) জন্য তাদের প্রা /ন বিষর্যনও দিতে হয়। তবে এবার এই দুই কিশোরীদের নিয়ে যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে অনেকেই আক্র’মানা’ত্মক কথা প্রকাশ করেছেন।
https://youtu.be/eT1CoIikJnA