ভালোবাসা মানে কোনো বয়স, জাত-পাত, ভেদাভেদ কিংবা কোনো বাঁধা মানে না। কোন নিষেধাজ্ঞাও মানে না। এ কারণে নোয়াখালীর বিলকিস ( Bilkis ) টাঙ্গাইলে প্রেমিকার কাছে ছুটে যান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। সোমবার ( Monday ) (২১ মার্চ ) দুপুরের দিকে, তিনি টাঙ্গাইলের ( Tangail ) উদ্দেশে নোয়াখালী ত্যাগ করেন। বিলকিস ( Bilkis ) দেশের একটি অন্যতম গনমাধ্যমকে জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয় আখির সাথে দুই বছর যাবত। পরে তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তাদের দুই পরিবারের কেউ মেনে নেয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি টাঙ্গাইলে চলে আসেন। তাদের পরিবার সম্পর্ক মেনে না নিলে তারা দুজন অন্য কোথাও চলে যাবে বলে জানায় বিলকিস ( Bilkis )।
টাঙ্গাইলে প্রেমিক (নবম শ্রেণির ছাত্রী) আখির কাছে ছুটে আসেন নোয়াখালীর বিলকিস ( Bilkis )। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ ) দুপুরে তিনি টাঙ্গাইলের ( Tangail ) উদ্দেশে নোয়াখালী ত্যাগ করেন। বিলকিস ( Bilkis ) জানান, ফেসবুক ও টিকিটের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এরপর দুই বছর হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন তিনি। প্রেমে পড়ে গেলেও তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারছে না পরিবার। “আমি আঁখিকে ভালোবাসি, তাই আমি চলে গেলাম,” তিনি এমনটিই বলেন। আমি আমার পরিবারকে তার কাছে যেতে বলেছিলাম কিন্তু তারা রাজি হয়নি। তারা আমাদের সম্পর্ককে সম্মান করবে না, তাই আমি অসহায়, আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি। এখন, তার পরিবার রাজি না হলে, আমরা দুজন অন্য কোথাও চলে যাব।
টাঙ্গাইলের নবম শ্রেণির ছাত্রী আঁখি বলেন, “আমি বিলকিসের সঙ্গে ঢাকায় গিয়েছিলাম। ঢাকায় দেখা হয়েছিল। আমাদের পরিবার ঢাকায় গিয়ে আমাদের আলাদা করে নিয়ে আসে। আমার ফোন নিয়ে নেয়। কয়েকদিন পর ফোন ফেরত দেয়। তারপর আমরা তার সাথে যোগাযোগ করে তাকে আমার বাসায় নিয়ে আসি। তিনি আমাদের সামাজিকভাবে গ্রহণ করবেন না, তবে আমি তার সাথে থাকতে চাই। বেঁচে থাকলেও তার সাথে, প্রয়াত হলেও তার সাথে। পুলিশ বা তারা যদি আমাদের পৃথিবী থেকে বিদায় করতে চায় তাহলে, দুজনকেই নিথর করে দিক। আর বাঁচিয়ে রাখতে হলে দুজনকেই রাখতে হবে। টাঙ্গাইল থেকে আসা আঁখির মা বলেন, অনেক দিন ধরে মানা করছি। এর আগে তারা ঢাকায় গিয়েছিলেন। তারপর দু’জনকে আলাদা করে রাখলাম। পরে আবার এসেছে। তাদের সম্পর্কের কারণে বাড়িতে লোকজন ভিড় করেছে। আমরা ওই কিশোরীর পরিবারকে জানিয়েছি। তারা এলে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দুই নারীর প্রেমে বিস্মিত এলাকাবাসী। সিয়াম নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, “আমি আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম।” এমন দিন দেখিনি। ব্যাপারটা দেখে খুব অবাক হলাম। ৭০ বছর বয়সী আঙ্গুর জানান, তিনি কখনও মেয়ে-মেয়ের সম্পর্ক দেখেননি। একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচতে পারে না। ব্যাপারটা আসলে রহ”স্যময়্টা টাঙ্গাইলের মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান কলেজের শিক্ষক বিএম দীপক পাল বলেন, সব সময় বিপরীত লি’/ঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হবেন এমন নয়। তাদের দুজনের মধ্যে সাময়িক বন্ধন তৈরি হয়েছে। এটি পরিবর্তনও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এমন ঘটনা বর্তমান সমাজে আগে তেমনটা ঘটতে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে সমাজে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বাইরে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে কিন্তু আমাদের দেশে এমন আগে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে দুটি পরিবারেকে ব্যপক সমস্যার সম্মখীন হতে হচ্ছে।