Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বিএনপিকে দুই কারনে পল্টনে সমাবেশ করতে দিতে চাইছে না আওয়ামীলীগ

বিএনপিকে দুই কারনে পল্টনে সমাবেশ করতে দিতে চাইছে না আওয়ামীলীগ

বিএনপি দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে জনসমাবেশ করার পর আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে এই সমাবেশ ঘিরে সরকারের তরফ থেকে ২৬টি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিকট থেকে অনুমতি চায় বিএনপি। কিন্তু বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কথা বলে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে।

১০ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে নয়াপল্টনে নয়, আওয়ামী লীগ চায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করুক। আওয়ামী লীগের
এই ধরনের চাওয়ার পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। এক. নাশকতার আশ’ঙ্কা, দুই. বিএনপিকে লোক জমায়েতের চ্যালেঞ্জ দেওয়া।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তারা চান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ হোক। কারণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে কয়েক লক্ষ লোকের সমাগম না হলে উপস্থিতি সেভাবে নজরে আসে না। আর বিএনপি নেতাকর্মীরা দেয়াল ঘেরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে সহিং”/সতার চেষ্টা করলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিএনপি তাদের জনসভায় বলে লোক আর লোক; তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গেলেই ধরা পড়বে। সেই ভয়ে তারা সোহরাওয়ার্দীতে যেতে চায় না। লোক নিয়োগ দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভরাট করা যাবে না। পল্টন এলাকার রাস্তায় মঞ্চ করতে চায় যাতে অল্প সংখ্যক লোক ব্যাপক মিডিয়া কভারেজ পায়। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সন্ত্রা”/সী কর্মকাণ্ড, নৈরাজ্য সৃষ্টি, দেশকে অস্থিতিশীল করার রাজনীতি করতে চায়। তারা স্বাভাবিক রাজনীতি করতে চায় না। পল্টনে ফুটপাতে মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করল সেখানে কয়টা লোক ধরে? তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো নাশ”/কতা ঘটানো।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপি সমাবেশ করলে সরকারের কোনো আপত্তি নেই। বরং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই সমাবেশ আয়োজনে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করছেন। তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন এগিয়ে এনেছেন। বিএনপিকে সমর্থন দিতে সরকারের আগ্রহের কমতি নেই। ‘

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, ঢাকায় বড় সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে সরকারকে বিব্রত করতে চায় বিএনপি। তারা ভেবেছিল সমাবেশে সরকার ভয় পাবে, আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দেবে। এ ধরনের প্রপাগান্ডাও ছড়ানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে; কিন্তু এখন তারা উল্টো বিপাকে পড়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভা করতে বিএনপি প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক জমায়েত করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। আবার, প্রাচীর ঘেরা জায়গা থেকে কোনো সহিং”/সতা বা নাশ”/কতার চেষ্টা করা কঠিন হবে। সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ফলে পুরো সমাবেশ এলাকা কড়া নজরদারিতে থাকবে। যা পল্টন সড়কে থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য কঠিন হতো।

দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য বিএনপিকে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সমাবেশ করতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া কোথাও অনুমতি পাবে না। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, “বিএনপির সমাবেশে সহযোগিতার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী খুবই আন্তরিক। তিনি নির্বিঘ্নে আমাদের দলের জনসভা অনুষ্ঠানের কর্মসূচি পরিবর্তন করেছেন। ফলে যদি কোনো অসৎ উদ্দেশ্য না থাকে। বিএনপি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।’

এদিকে বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ করার পর সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনটাই বারবার জানাচ্ছে বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা। এদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমাবেশ নিয়ে অনেকটা শ”ঙ্কা প্রকাশ করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। কারণ ঐদিন জনসমাবেশে একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে রাজনীতিতে। তবে তবে আ.লীগ ও পাল্টা সমাবেশ করার জন্য কথা ঘোষণা করেছে পরবর্তীতে তারাও নিজেদের জনপ্রিয়তা জানান দিতে সমাবেশ করতে যাচ্ছে।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *