কাউন্সিলর খোরসেদসহ আরো এক জনকে আদালত কারাগারে পঠানোর আদেশ দেন। এতেই শুরু হয় নানা ধরতের বিতর্কিত মন্তব্য। তবে কারাগারে যাওয়ার পূর্বে খোরসেদের জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেন যে কথা গুলো সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।
পৃথক দুটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিএনপির দুই কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা ও মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ জুন) বন্দর থানার একটি মামলায় আশাকে জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমানের আদালতে এবং আরেকটি মামলায় খোরশেদকে নারী ও শিশু নির্যাতনের আদালতে কারাগারে পাঠানো হয়।
উভয় মামলায় উভয়েই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
কাউন্সিলর খোরশেদ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি এবং কাউন্সিলর, আশা মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি।
দুই কাউন্সিলরের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা। তারা বলেন, এসব একাধিক মিথ্যা মামলায় কাউন্সিলরদের জড়িত থাকার কারণে তারা নাগরিকদের সেবা দিতে পারছেন না। তারা জামিনের আবেদন করেছেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের মামলায় জড়াবেন না।
আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান দুই কাউন্সিলরকে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
মামলা দুটির শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের মধ্যে শারমিন হাবিব বিন্নি, আফসানা আফরোজ বিভা শাওয়ন অঙ্কন, মনিরুজ্জামান মনির, অসিত বরণ বিশ্বাস, আবদুল করিম বাবু, কামরুল হাসান মুন্না, মো: শাহীন মিয়া, সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া ও মো. আনোয়ার ইসলাম।
জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর খোরশেদ বলেন, এসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বন্দি করে আমাকে রাজপথে আন্দোলন থেকে দূরে রাখা যাবে না। আমি শীঘ্রই আপনার কাছে ফিরে আসব. আবার দেখা হবে হাইওয়েতে।
কাউন্সিলর আশা বলেন, এটা একটা ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নাগরিক সেবায় জড়িত রয়েছি। ষড়যন্ত্র করে আমাকে আটকে রাখা যাবে না।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিপলু জানান, নারী নির্যাতনের অভিযোগে একজন নারী তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।