জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস এবার দুটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বরিশাল-২ আসনেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার কালকিনি, ডাসার ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ আসন। গত ২৭ নভেম্বর তিনি এ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এদিকে গত ২৯ নভেম্বর তিনি বরিশাল জেলার বানারীপাড়া-উজিরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-২ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন, যা ৩০ নভেম্বর বিকেলে মাদারীপুরে জমা দেন। বিকেলে বরিশাল।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তার দলীয় প্রতীক গামছা।
এ বিষয়ে নকুল কুমার বিশ্বাস জানান, দলীয় স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভক্তদের অনুরোধে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর সুখে-দুঃখে ও এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণের পাশে থাকবেন। তিনি আগেও এলাকার জন্য নিবেদিত ছিলেন এবং থাকবেন।
নকুল কুমার বিশ্বাস ১৯৬৫ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামের এক সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। তাঁর পিতার নাম সুরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস এবং মা মঙ্গলী দেবী। মাত্র 8 বছর বয়সে যাত্রা দলে একজন শিল্পী হিসেবে যোগ দিয়ে তাঁর সঙ্গীত জীবন শুরু হয়। এরপর থেকে তিনি যাত্রার পাশাপাশি গ্রাম-শহরে বহু অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করছেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি সেতার, তবলা, বাঁশি, সরোদ, সাঁতুর, দোতারা এবং ম্যান্ডোলিন বিশেষ করে হারমোনিয়ামসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রে পারদর্শী।
তিনি বহু বছর ধরে বাংলাদেশ বেতারে একজন যন্ত্র ও সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু তার ক্যারিয়ারের সেরা সুযোগ আসে ম্যাগাজিন শো ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বলেন, তার পূর্বপুরুষ হরনাথ বাইন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে এমপি ছিলেন। তিনি আরও বলেন, বরিশালের সাতলা গ্রামে সাবেক এমপির বাড়ি রয়েছে। সেজন্য বরিশাল ও মাদারীপুর দুই জায়গা থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবেন বলেও জানান তিনি।