Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / দুইটি কারণে শেখ হাসিনাকে রাখতে চায় না ভারত

দুইটি কারণে শেখ হাসিনাকে রাখতে চায় না ভারত

বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শেখ হাসিনা যে বিমানে ভারতে এসেছিলেন সেটি টেক অফ করেছে। সূত্র জানায়, ভারত চায় শেখ হাসিনা যত দ্রুত সম্ভব অন্য দেশে চলে যান। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত ভারত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মুখ খোলেনি।

শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাও সঙ্গে রয়েছেন। শেখ রেহানার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব রয়েছে। তবে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে যেতে চাইলে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে হবে। শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ সেনার বিমান ভারতের বাইরে চলে যাবে সেই প্রস্তুতিও নেয়া হয়ে গেছে বলে সূত্র জানাচ্ছে। বিমানে জ্বালানি ভরার কাজ পর্যন্ত শেষ।

সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শেখ হাসিনা যে বিমানে ভারতে এসেছিলেন সেটি তার পরবর্তী গন্তব্যে চলে গেছে। সকাল নয়টা নাগাদ তা৩ উড়ে যায়। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এটি পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানা গেছে। শেখ হাসিনা ওই বিমানে আছেন কিনা তা জানায়নি বার্তা সংস্থা। কিন্তু সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা ওই বিমানে যাননি।

ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, “শেখ হাসিনা কোথাও রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। তিনি যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন এমন খবর সত্য নয়। তার পরিবার এখনও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে। তিনি সেখানে তার নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটাতেই পছন্দ করবেন।”

সোমবার বিকেলে শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিমান দিল্লির কাছে হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে নামে। সেখানে ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তার সঙ্গে হাসিনার কথাও হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ভারত চায় শেখ হাসিনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্য দেশে চলে যান৷

ভারত কেন হাসিনাকে রাখতে চায় না?

ও পি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ”মূলত দুইটি কারণে ভারত শেখ হাসিনাকে রাখতে চায় না। প্রথম বিষয়টি অবশ্যই তার নিরাপত্তা সংক্রান্ত। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, বাংলাদেশে যে সরকারই আসুক, ভারত তার সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। আর বাংলাদেশে হাসিনা-বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে। ভারত চায় না, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার ঘটনা ছায়াপাত করুক।”

শ্রীরাধা বলেন, এর আগে সেনা সরকার যখন ছিল, তখন ভারতের অসুবিধা ছিল। কিন্তু এবার সেনা সম্ভবত পিছনে থাকবে, বাংলাদেশে নতুন কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হবে বলে মনে হচ্ছে। ফলে তাদের সঙ্গে ভারতের আলোচনা করতে কোনো অসুবিধা হবে না।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *