বিনোদনের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। আজকের দর্শকরা টেলিভিশন বা সিনেমা থিয়েটারের পরিবর্তে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, ডিজনি প্লাস, হটস্টার এবং অন্যান্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুখ গুঁজে বসে থাকতে দেখা যায়। নিজের সময় অনুযায়ী, পছন্দ মতো কনটেন্ট দেখার সুবিধার জন্যই মূলত এত চাহিদা এ প্ল্যাটফর্মগুলোর। কমেডি, হরর, রোমান্টিক, থ্রিলার বা অ্যাকশন-প্ল্যাটফর্মও বাহারি কন্টেন্টে তাদের শাখা সাজিয়েছে। এগুলি আবার বয়স অনুসারে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
অর্থাৎ ১৩ বছর বয়সী দর্শকদের জন্য আলাদা সিনেমা-সিরিজ। কিছু পনের বছর বয়সী দর্শকদের জন্য এবং কিছু ১৮ বছর বয়সী এবং তার বেশি বয়সীদের জন্য রয়েছে৷ যেখানে শুধু অন্তরঙ্গ দৃশ্যই নয়, রয়েছে অনেক অশ্লীল, অশালীন দৃশ্যও। কিন্তু এসবই করা হয় পশ্চিমা বিশ্বে তাদের সংস্কৃতি ও দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে।
কিন্তু ইদানীং আমাদের দেশীয় ওটিটিতেও এই বিদেশী সংস্কৃতির চর্চা দেখা যায়। কিছু দর্শকের অভিযোগ যে ঘরোয়া ওটিটি এখন নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম এবং ডিজনির সাথে এই অশ্লীল দৃশ্যগুলি দেখাচ্ছে৷ তারা দাবি করে যে এই বিষয়বস্তুগুলি বিশ্বের কাছে আমাদের সংস্কৃতিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। কিন্তু এই অশ্লীলতা বা অশ্লীলতা আমাদের সংস্কৃতির সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ? ঘরোয়া কনটেন্টে এসব অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয় করা বা সেসব দৃশ্যে অভিনয় করা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূর্ণিমা বিষয়টি দেখছেন অশালীনভাবেই। এক সময় তিনি নিয়মিত অভিনয় করেছেন বড় পর্দায়। এখনো সিনেমায় অভিনয় করছেন। কিন্তু ওটিটি থেকে প্রস্তাব পেলেও ফিরিয়ে দিয়েছেন তা। এর পেছনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ওটিটি আমার সঙ্গে যায় না। সেখানে চরিত্রে অশালীনভাবে উপস্থাপনের বিষয় থাকে। সিনেমার ওই দুঃসময়টাতেই (অশ্লীলতার সময়) নিজেকে যখন অশালীনভাবে উপস্থাপন করিনি, এখন ওটিটি তো প্রশ্নই আসে না।’