বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবীদ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশর রাজনীতির সঙ্গে বেশ সক্রীয় রয়েছেম। এবং বিএনপি দলের সঙ্গে কাজ করছেন। বর্তমান সময়ে তার এক বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যপক আলোচনা-সামলোচনা বিরাজ করছে। এবং আওয়ামীলীগ দলের নেতাকর্মীরা তার বক্তব্যর জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অবশেষে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। এবং জানালেন বেশ কিছু কথা।
নিজের একটি বক্তব্যের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার পর এবার সেই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘কোনও অসতর্ক মুহূর্তের কথা কিংবা বক্তব্যে যারা কষ্ট পেয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন অনুভূতিতে, তাদের সবার নিকট আমি ক্ষমাপ্রার্থী। একই সঙ্গে উক্ত বক্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি। ভালো থাকুক আমার প্রিয় স্বদেশ, শান্তিপূর্ণ থাকুক বাংলাদেশ।’ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন। এদিন সকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন লেখেন, ‘আমি প্রিয় স্বদেশ ভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে জীবন সংকটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। আমার শরীরে একটি গুরুতর সার্জারি হয়েছে। সংগত কারণেই সকল দুঃসংবাদ থেকে পরিবার আমাকে দূরে রেখেছে। তারপরও বিলম্বে আমি জেনেছি অতীতে আমার একটি বক্তব্য বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।’ আত্মপক্ষ সমর্থনে আলাল বলেন, ‘দীর্ঘ ৪৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে জ্ঞাতসারে কিংবা ইচ্ছাকৃত কারও সম্মান, অনুভূতি, বিশ্বাসে আঘাত করিনি। তবুও মানুষ হিসেবে আমিতো ভুলের ঊর্ধ্বে নই।’
বর্তমান সময়ে শারীরিক ভাবে আওসুস্থ হয়ে দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই বিএনপির রাজনীতিবীদ। তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি দলের হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এমনকি বর্তমান সময়ে বিএনপি দলের সংকটময় পরিস্তিতেও দলের হয়ে নিরলস ভাবে কাজ করছেন তিনি।