সম্প্রতি দেশে কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউণিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা অংশগ্রহন করেছে। রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা করে বিজয়ী হয়ে মোহাম্মদ আলী রেকর্ড গড়েছেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে থেকে দেশে ফিরেই নির্বাচনে অংশগ্রহন করে বিজয়ী হয়েছে। তার প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা উঠে এলো প্রকাশ্যে।
পঞ্চম ধাপে বুধবার অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১ নম্বর গাজীপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। তিনি একজন সৌদি আরব প্রবাসী। সৌদি আরবের জেদ্দা শহরের বড় ব্যবসায়ী এবং সেখানকার বিএনপির বড় নেতা হিসেবেই তার পরিচয়। ২৭ বছর ধরে সেখানে বসবাস তার। প্রবাসে থাকলেও চুনারুঘাট উপজেলার গোবরখলা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী সুযোগ পেলেই দেশে এসে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করেন। সম্প্রতি তার মায়ের মৃ/ত্যু হলে তিনি দেশে আসেন পারিবারিক কাজে। ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে তার শুভাকাঙ্ক্ষিরা তাকে অনুরোধ করেন নির্বাচনে অংশ নিতে। ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখে তিনি ঘোষণা দেন নির্বাচন করার।
এর পর মোটরসাইকেল প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে দিনরাত কাজ করেন নিজ এলাকায়। গাজীপুর ইউনিয়নের ৫২টি গ্রামে ঠিকভাবে যেতে পারেননি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু দিন শেষে তিনি ৬ হাজার ৪৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নৌকা প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খান পান ৫ হাজার ১৬৪ ভোট। মোহাম্মদ আলীর এই জয় যেন জুলিয়াস সিজারের সেই বিখ্যাত উক্তি ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’ এর মতোই হলো। এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এর আগে কোনোদিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। তবে সবসময় জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি। জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছে। আমি সবার কাছে যেতেও পারিনি। এখন আমার স্বপ্ন গাজীপুরকে আধুনিক ইউনিয়নে রূপান্তর করা।’
পঞ্চম ধাপে ইউণিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১ নম্বর গাজীপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খানের বিপরীথে ৬ হাজার ৪৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী।