মানুষ মনে অনেক আকাঙ্খা নিয়ে পাড়ি জমায় বিদেশে। পরিবারের মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য মানুষ নিজের সুখকে বিসর্জন দিয়ে বছরের পর বছর বিদেশে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। দুর্ভাগ্যের কারণে বিদেশে প্রবাসীদের অকাল প্রয়ানের খবরও শোনা যায় প্রায়। সম্প্রতি তেমনি একটি প্রয়ানের খবর পাওয়া গিয়েছে ২০ বছরের প্রবাস জীবন শেষ, দেশে ফিরবে আলীর নিথরদেহ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আলী হোসেন (৫২) নামে এক প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রয়াত হয়েছেন। শনিবার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আবুধাবির হামিম এলাকায় আলী হোসেন প্রয়াত হন।
স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ নিথরদেহ উদ্ধার করে বদর জায়েদ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার নিথরদেহ এখনো হাসপাতালে রয়েছে। টাকা ও মোবাইল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
জানা যায়, মেয়ের বিয়ের জন্য বাড়িতে টাকা পাঠাতে কর্মস্থল থেকে মানি এক্সচেঞ্জ অফিসে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আলী হোসেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার হামিদ আলী ভূঁইয়া বাড়ির প্রয়াত আব্দুল মালেকের ছোট ছেলে। তিনি ২০ বছর নির্বাসিত ছিলেন। তার স্ত্রীর এক ছেলে ও দুই মেয়ে।
আলী হোসেনের ভাতিজা মুহাম্মদ জহির উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, চাচাতো বোনের বিয়ে চলছে। শনিবার কাজ শেষ করে বিয়ের জন্য টাকা পাঠাতে যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার প্রয়ান হয়। এখান থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানোর পর নিথরদেহ বাড়িতে আনা হবে।
মিরসরাই অ্যাসোসিয়েশন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, আলী হোসেন ভাইয়ের কফিন বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে প্রক্রিয়া চলছে। সমিতির ইনচার্জ শহীদ ভাই হাসপাতালে আছেন। দেশ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখানে আসার পর মরদেহ দেশে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, প্রয়ানের মধ্যমে মানুষের সারা জীবনের আশা মুহূর্তেই মিশে যায় ধুলায়। যেখানে কথা থাকে বিদেশে গিয়ে অর্থ আয়ের দ্বারা পরিবারের স্বজনদের মুখে হাসি ফুটাবো। হয়তো কিছুটা সেই আশা পূরণ হলেও আর হয়না স্বজনদের সাথে দেখা। আলী হোসেনর ভাগ্যেও তেমনটি হয়েছে।