দীর্ঘ আট বছরের প্রতীক্ষার পর অবশেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য আজ রাতে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রওনা হয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তাকে লন্ডনের একটি ঐতিহ্যবাহী হাসপাতালের এনএইচএস অধিভুক্ত শাখায় ভর্তি করা হবে। হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে তিনি চিকিৎসাধীন থাকবেন।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন, তিনি রাত ৮টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হবেন এবং রাত ৯টায় বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করবেন।
জানা গেছে, এই সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকবেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুর উদ্দিন আহমদ ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। এছাড়া তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং দলীয় উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ বেশ কয়েকজন সফরসঙ্গী থাকবেন।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, লন্ডনে দীর্ঘ আট বছর পর বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হবে খালেদা জিয়ার। ২০১৬ সালে সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের সময় সর্বশেষ তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তার। এরপর দীর্ঘ আট বছর মায়ের সঙ্গে ছেলের আর দেখা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি কারাবন্দি ছিলেন। এ সময়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়নি তাকে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট নির্বাহী আদেশে তিনি মুক্তি পান।
আজ রাতে খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রার মধ্য দিয়ে একদিকে শুরু হবে তার উন্নত চিকিৎসার নতুন অধ্যায়, অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর মায়ের সঙ্গে ছেলের সাক্ষাৎ একটি আবেগঘন পুনর্মিলনের স্মৃতি হয়ে থাকবে।