মামুনুল হক, বাংলাদেশের আলোচিত বক্তাদের মধ্যে একজন। একটা সময়ে তার ইসলামের ময়দানে তার দাপট ছিল বেশ। তবে এ সব কিছুই এখন অতীত। তার জীবন কাটছে এখন অন্ধকার কারাগারে। সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের এই যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, আমাকে জাতির কাছে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করতে প্রতিদিন নাটক সাজানো হচ্ছে। আমার দুই হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে।
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সোমবার মামুনুল হককে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪-এর বিচারক ফাতেমা ইমরোজ খানিকারের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমানে নাশকতার মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। তবে মামলার কোনো সাক্ষী সোমবার আদালতে হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি।
মামুনুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। তবে সাক্ষ্য দিতে কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি।
২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানাধীন মধ্য পীরেরবাগ এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেয়। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খন্দকার রাজীব আহমেদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ এসআই রফিকুল ইসলাম মামুনুল হকসহ ৬৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, গেলো বছরের সব থেকে আলোচিত ঘটনার নাম ছিল মামুনুল হকের ঘটনা। গত বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্ট এ নিজের কথিত স্ত্রীর সাথে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আবিষ্কার করেন সেখানকার লোকাল জনগণের একটি দল।আর সেই থেকেই সারা দেশে এ নিয়ে তৈরী হয় একটি অস্থিতিকর পরিবেশ।আর এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধ’র্ষ’ণ’ মামলা করেন ওই নারী। সেই থেকে তার নাম চলছে এই মামলার কার্যক্রম।