Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / more/law / দীর্ঘদিন আটক রাখা কিশোরীর সাথে খারাপ কাজ করে ওসি প্রদীপ

দীর্ঘদিন আটক রাখা কিশোরীর সাথে খারাপ কাজ করে ওসি প্রদীপ

একসময় আলোচনার শীর্ষে ছিল মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের হ’/’ত্যা ঘটনা, এই ঘটনার পর দা’য়েরকৃত মা’ম/লা এখনও বিচারাধীন আছে। বিচার প্রক্রিয়ায় ঘটনার সা’ক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহন করা হচ্ছে। রাশেদ খানকে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিনড্রাইভে নিথর করে দেওয়া হয়। সা’ক্ষ্য গ্রহনের ৫ম দফায় প্রথম দিনটতে আরো ছয় জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও আইনজীবীর জে’রা শেষ হয়েছে।

মো. ইসমাঈল যিনি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হিসেবে রয়েছেন তার আদালতে গত রবিবার ১০ টা বেজে ১৫ মিনিটে বিশতম সা’ক্ষী বেবী বেগমের সাক্ষ্য গ্রহনের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় এবং বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলতে থাকে।

সেই সময় বেবি বেগম আদালতকে বলেন যে, ওসি প্রদীপ এবং তার বা/হি’/নী ২০২০ সালে আমার কিশোরী মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর ওসি প্রদীপ আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন থা’/নার দ্বিতীয় তলায় আটকে রেখে তার সাথে খারাপ কাজ করে। সেই সময়ের পরে, মেয়েটি বাড়ি ফিরে আসে এবং বেশ কয়েকবার আ’ত্মহ’/ননের চেষ্টা করে।

প্রশাসন ওসি প্রদীপের পক্ষে থাকায় মা’ম/লা করার সাহস পাননি দাবি করে বেবি বেগম বলেন, মেজর সিনহা হ’/’ত্যা মা’ম/লার পর তিনি সাহস পেয়ে ওসি প্রদীপের বিরু’দ্ধে আদালতে সংশ্লিষ্ট আইনে মা’/ম’/লা করেছেন। রোববার বেবি বেগম ছাড়াও সে’/না কর্মকর্তা লে. আরেফিন, করপোরাল নুর আহমদ, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সৈয়দ মঈন ও রুহুল আমিন এবং লেন্স করপোরাল আবু জাফর আদালতে সা’ক্ষ্য প্রদান করেন। পরে তাদের আ’/সা’/মিপক্ষের আইনজীবীরা জে’রা করেন।

সে’/না সদস্যরা সবাই মেজর সিনহা হ’/’ত্যার রাতে সে’/না সদস্যদের সঙ্গে ওসি প্রদীপের দুর্ব্যবহার ও মেজর সিনহা হ’/’ত্যাকে পরিকল্পিতভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন। মেজর সিনহা হ’/’ত্যা মা’ম/লা বিচারকাজে যুক্ত একাধিক আইনজীবী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার জেলা কা’রা/গার থেকে মা’/ম’লার ১৫ আ’/সা’/মিকে প্রিজনভ্যানে কড়া পু’/লি’/শ পাহা’রায় আদালতে আনা হয়। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম বলেন, মা’ম/লায় সা’ক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সা’ক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৯ জনকে আদালত নোটিশ দিয়েছেন। গত ২৩ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ২৫ জনের জবানব’/ন্দি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রোববার পঞ্চম দ’ফায় প্রথম দিনে সা’ক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৯ জন সা’ক্ষী আদালতে উপস্থিত থাকলেও ৬ জনের সা’ক্ষ্যগ্রহণ করতে পেরেছেন আদালত।

গত ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মা’ম/লা দা’য়ের করেন, যার মধ্যে প্রদীপ কুমার দাস এবং বহরছড়া পু’/লি’/শ ফাঁ’ড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নয়জন সদস্য হ’/’ত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয় ঐ মা’ম/লায়।

১৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এপিবিএন পরিচালিত একটি চেকপোস্টে সিনহার হ’/’ত্যার ঘটনায় দা’য়ের করা মা’ম/লায় পু’/লি’/শ সোর্স আয়াজ এবং তিন এপিবিএন সদস্যসহ ১৫ জনের বিরু’দ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়, যেখানে টেকনাফ পু’/লি’/শের কর্মকর্তারা সিনহার গাড়ি আট’কায়। চার্জশিটের ১৫ জন আ’/সা’/মির সবাই বর্তমানে কা’রা/গারে। তাদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বী’কারোক্তিমূলক জবানব’/ন্দি দিয়েছেন ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কনস্টেবল সাগর দেব এবং রুবেল শর্মা ছাড়া।

 

 

About

Check Also

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ: ২৮ অক্টোবরের ধ্বংসযজ্ঞে দেশকে জাহান্নামে পরিণত করা হয়

২৮ অক্টোবরের ধ্বংসযজ্ঞের মধ্য দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষকে নরকের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *