চলতি বছরের গত ২২ নভেম্বর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় প্রাণ হারাণ কুসিক’এর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল ও সহযোগী হরিপদ সাহা। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেও দেখা গেছে। আর এ ঘটনায় অন্যতম দুই আসামি ছিলেন সাব্বির ও সাজন। যারা গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
তবে এদিকে এবার জানা গেল, কোন মাওলানা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত জানাজা ছাড়াই দাফন করা হয়েছে কাউন্সিলর নিহতের মামলার দুই আসামি সাব্বির ও সাজনের লাশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশি পাহারায় সীমিতসংখ্যক পরিবারের সদস্য নিয়ে মরদেহ দাফন করা হয়। তবে এ সময় কোনো মাওলানা ও এলাকার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেননি।
নগরীর চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কায়সার হামিদ বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহতের লাশ এলাকায় দাফন না করার জন্য সকালে বিক্ষোভ করেছিল স্থানীয়রা। তাই বিকেল কবরস্থান এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় মরদেহ না নিয়ে সিটি করপোরেশন নিয়ন্ত্রিত নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও তাদের নামাজে জানাজা পরতে কোনো মাওলানা ও মুসল্লি এগিয়ে আসেননি। পরে জানাজা ছাড়াই মাগরিব নামাজের কিছু আগে সাব্বির হোসেন ও মো. সাজনের মরদেহ দাফন করা হয়।
এদিকে জানা গেছে, গত সোমবার পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিয়ত সাব্বির হোসেননের বাবার নাম রফিক মিয়া। তিনি সুজানগর এলাকায় বসবাস করতেন। অপরদিকে সাজনের বাবার নাম কাকন মিয়া বলে জানা গেছে। তিনি সংরাইশ এলাকার বাসিন্দা।