প্রেমের বিষয়ে দীপিকার কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে যান মাধুরী

প্রাণখোলা উচ্ছ্বল হাসি এবং মায়াবী চোখের চাহনিতে মন কেড়ে নেন লাখ লাখ পুরুষের, যারা তাকে দেখলে হয়ে যায় মুগ্ধ। দর্শকেরা তাকে দেখার জন্য সবসময় উন্মুখ হয়ে থাকতেন। তিনি এই বয়সেও তার রূপ লাবণ্য খুব ভালোভাবেই ধরে রেখেছেন। এই নায়িকার সাথে বেশ কয়েকজন চিত্রনায়কের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এমনটাই একসময় গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল। তবে একজন চিকিৎসককে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। বলা হচ্ছে বলিউডের জনপ্রিয় হার্টথ্রব অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের কথা।

এক সময় এমন অনেক পুরুষ ছিলেন যারা মাধুরীর প্রেমে পড়েছিলেন। প্রেমে পড়া প্রেমীকদের সেই তালিকায় ছিলেন ব্যাডমিন্টন তারকা প্রকাশ পাড়ুকোন। এই খবর ফাঁস করলেন তাঁর মেয়ে, আরেক সেনসেশনাল বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।

ছয় বছর আগে (২০১৬) একটি সাক্ষাৎকারে মাধুরীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল দীপিকার। আড্ডায় প্রকাশ কন্যা মাধুরীর প্রতি বাবার গোপন প্রেমের কথা জানালেন। ‘ধক ধক গার্ল’-এর বিয়ের খবরে নাকি তার বাবা বাথরুমে ঢুকে হাউমাউ করে কেঁদেছিলেন। এ ঘটনা নিয়ে এখনো ঠাট্টা করে থাকে তার পরিবার।

দীপিকা বলেন, যেদিন মাধুরীর বিয়ের খবর প্রচার হয়েছিল, তার বাবা (প্রকাশ পাড়ুকোন) খবরের কাগজ পড়া বন্ধ করে বাথরুমে চলে যান। কিছুক্ষণ পর যখন সে বের হচ্ছিল না তখন আমরা সবাই দরজায় টোকা দিতে লাগলাম। তারপর বাবা বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলেন। কান্নায় তার চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল। অবাক হয়ে মা জিজ্ঞেস করলেন, ‘চোখ তো ফুলে গেছে। ভেতরে বসে কাঁদছিলে নাকি?’

মাধুরীকে উদ্দেশ্য করে দীপিকা বলেন, ‘বাবা তোমার প্রেমে পাগল ছিল। সারাদিন সে তার রুটিন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও তুমি ছিলে আমার বাবার অনুপ্রেরণা।’ দীপিকার মুখে নিজের প্রতি তার বাবার ভালোবাসার কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে যান মাধুরী।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ১৭ অক্টোবর কার্ডিওলজিস্ট ডা. শ্রীরাম নেনের গলায় মালা পরিয়ে দেন মাধুরী। তাদের দুই ছেলে আরিন ও রায়ান।

দীপিকা পাড়ুকোন রণবীরকে বিয়ে করার পর বেশ সুখেই দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছেন, যেটার জন্য দীপিকার অনেক ক্রাশ আফসোস করছেন। দীপিকা পাড়ুকোনকে বর্তমান সময়ে নতুন কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যাচ্ছে না। তবে তিনি জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই তার নতুন সিনেমা মুক্তি পাবে।