দিনে দুপুরে এক গৃহবধুর ব্যাগ ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনারি ঘটেছে পটুয়াখালী জেলায়। অভিযুক্ত আসামী পটুয়াখালী জেলার আঠারগাছিয়ার বাসিন্দা। সে আঠারগাছিয়ার নেছার উদ্দিনের ছেলে লিটন। তিনি স্থানীয় পর্যায়ে একজন রাজনৈতক নেতা হিসেবেও এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত। দিনে দুপুরে এলাকার এক গৃহবধুর ব্যাগ ছিনতাইয়ের বিষয়ে ভুক্তভোগী নিজেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গৃহবধূর ব্যাগ ছিনতাই মামলায় যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান লিটনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৭ জুন) সকালে মতিউর রহমান লিটন পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। লিটন পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে ইউনিয়নের আঠারগাছিয়া এলাকার নেছার সিকদারের ছেলে। মামলার বিস্তারিত জানা গেছে, আঠারগাছিয়া গ্রামের মো. বাদী সাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী রুবিনার সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে মতিউর রহমান লিটন রুবিনাকে আজেবাজে কথা বলে উত্যক্ত করত। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল রুবিনা লোন নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাদী অসহায়ভাবে চিৎকার করে পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষন করলে আসামি লিটন দ্রুত রুবিনার গলায় থাকা একটি ভারী চেইন ও ভ্যানিটি ব্যাগ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে বিচার না পেয়ে পটুয়াখালী আদালতে মামলা করেন রুবিনা। বুধবার লিটন আদালতে হাজির হয়ে বিচারের তারিখ ধার্য করে জামিনের আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, পারিবারিক কলোহের জের ধরে সাখাওয়াতের স্ত্রী রুবিনাকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে তার যাতায়াতের পথ অবরোধ করে। এমন পরিস্থিতি দেখে রুবিনা আক্তার চিৎকার করলে ঘটনাস্থলে আশেপাশে থাকা জনগন এগিয়ে আসে। রুবিনা আক্তার পারিবরিক প্রয়োজনে কিছু নগদ অর্থ তার ব্যাগে নিয়ে আসছিল, সেই নগদ অর্থ এবং তার গলায় থাকা একটি মুল্যবান স্বর্নের চেইন লোকজন আসতে দেখে নিয়ে পালিয়ে যায় লিটন। অভিযুক্ত লিটন স্থানীয় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের সত্যতার প্রমান মিললে স্থানীয় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছেন বলে স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে।