সারাদেশেই বেড়েছে ছিনতাই মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। বিশেষ করে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) রাজধানী ঢাকায় ( Dhaka ) বেশী ছিনতাই এর মত ঘটনা ঘটে। অর্থ আত্মসাতের জন্য সাধারণ মানুষের প্রা/ ণনাশ করতেও এক মুহুর্ত ভাবে না তারা। সম্প্রতি এমনই একটি ছিনতাইকারী পুলিশ ( police ) কর্তৃক ধৃত হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় দিনে অটো রিক্সা চালায় এবং রাত ( Night ) হলেই নেমে পড়ে চিন্তা এর মত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
দিনের আলোতে, তারা সিএনজি অটোরিকশা চালক, সবজি বিক্রেতা, রং মিস্ত্রি, মুদি এবং অনলাইনে খাবার সরবরাহ সহ বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। এর মুখে, সবাই জীবিকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। তবে এসব পেশায় আয় কম থাকায় একযোগে মোটা আয়ের জন্য চোরের পেশা বেছে নেন তিনি। কারণ তারা ক্লায়েন্টের বাড়িতে গিয়ে সহজেই ক্লায়েন্টের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পেতে সক্ষম হয়। এবার এই দিবালোকেরা রাত ( Night )ের আধারে প্রবল চোর হয়ে গেল। চমকপ্রদ খবর হলো, সম্প্রতি এই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পেশার ছদ্মবেশে এই চক্রটি অত্যন্ত চতুরতার সাথে বাসা থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও কেরানীগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি ডাকাতির তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রটিকে খুঁজে পেয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি শ্রমিক শ্রেণীর কাছ থেকে চুরি করে আসছে। মোহাম্মদপুর এলাকায় সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এ চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোঃ সুজন হাওলাদার (৩২), রবিউল আউয়াল ওরফে রবি (১৯), মোঃ বাবু ওরফে জুয়েল (২২), মোঃ রনি (১৯), একরাম আলী (৩৩) ও ইব্রাহিম মিঝি (২০)।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি সিঙ্গেল ব্যারেল পিস্তল, ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি হেলিকপ্টার, দুটি লোহার ছুরি, একটি লোহার বার, একটি পাইপ কাটার চুলা ও নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিবি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, তারা সিএনজি, অনলাইনে খাবার সরবরাহ, রঙের কাজ, মুদি কেনাকাটাসহ বিভিন্ন হোম রেকি চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। অতঃপর রাতের আধারে ডাকাতির উদ্দেশ্য হয় সেসব বাড়িতে ঢুকে লুটপাট। সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতিসহ সাভারের ধামরাই, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানার বচিলা সিটি ডেভেলপারস লিমিটেড এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের আটক করা হয়। এসময় ডাকাতিতে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় দুটি ডাকাতিসহ একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
ক্যাবল সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন অর রশিদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ক্যাবল সদস্যদের সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তারা সবাই বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। সে এই পেশার আড়ালে থেকে চুরি করে আসছে। চক্রের সদস্য সংখ্যা 15 থেকে 16। নেটওয়ার্কের প্রধান নেতা সাদ্দাম হোসেন পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে সাত থেকে আটটি মামলা রয়েছে।
ছিনতাই ডাকাতের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঢাকার অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছে সরকার। অন্যদিকে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।