Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / দিনমজুরের ব্যাংক একাউন্টে ২৯১১ কোটি, ঘুম হারাম এলাকাবাসীর

দিনমজুরের ব্যাংক একাউন্টে ২৯১১ কোটি, ঘুম হারাম এলাকাবাসীর

একজন দিমজুরের আয় দিনে কতই বা হতে পারে। তার আয় সম্পর্কে কম বেশি সবারই জানা। তিনি খুবই সমান্য পরিমানে আয় করে থাকেন যা দিয়ে তার সংসার চালানো অনক দুষ্কর হয়ে পড়ে। েকজন দিনমজুরের আয় যদি এতটাই কম হয় তাহলে তার ব্যাংকে কতই বা অর্থ থাকতে পারে। সেইটাও নিশ্চয় খুবই অল্পতপরিমাণ। তবে সম্প্রতি এক দিনমজুরের ব্যাংক একাউন্টে হঠাতই এলো হাজার হাজার কোটি রুপি। ঘুম নেই পাড়া-প্রতিবেশীর।

গত চার-পাঁচ মাস ধরে বইয়ে টাকা (টাকা) তোলা বা জমা দেওয়ার কাজ করেনি ব্যাংক। কিন্তু দুদিন আগে যখন এক টাকার প্রয়োজন ছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের ( West Bengal ) উত্তর চব্বিশ ( Twenty-four ) পরগনা জেলার হাবড়ার এক যুবক রুপির আভাস পেয়েছিলেন। ব্যাঙ্কে অতিরিক্ত টাকা থাকায় তিনি তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০০ রুপি তুলতে ব্যর্থ হন।

তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের একটি মিনি স্টেটমেন্ট পরে CSP থেকে বের করা হয়। তখনই নজর কাড়েন হাবরার নাংলা এলাকার দিনমজুর সুদীপ্ত হাজরা। তার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৯১১ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার টাকা। সুদীপ্তা হাজরা ( Sudipta Hajra ) বুঝতে পারছেন না কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্টে এলো।

রবিবার রাতে সুদীপ্ত নামে 32 বছর বয়সী যুবক হাবড়া থানায় যান। পুলিশ তাকে ব্যাংকের প্রধান শাখায় যোগাযোগ করতে বলেছে। তবে সময়ের অভাবে এখনো তা করতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার এলাকায় ঘটনাটি জানতে পেরে হতবাক সুদীপ্তের প্রতিবেশীরাও। প্রতিবেশীরা তার বাড়িতে জড়ো হয়।

সুদীপ্ত জানান, প্রাইভেট ব্যাঙ্কে তিনি যে পরিমাণ জমা করেছিলেন তা ছিল ৯ হাজার টাকা। এখন আপনি নিজের প্রয়োজনে সেই রুপিও তুলতে পারবেন না। যুবক চায় তার হিসাব আগের মতোই বজায় থাকুক। যে পরিমাণ টাকা আছে তাতেই তিনি সন্তুষ্ট থাকতে চান।
রবিবার তাদের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা জমা হওয়ার পর থেকে চিন্তিত সুদীপ্তা এবং তার বাবা কার্তিক হাজরা। সুদীপ্তার পরিবার ও প্রতিবেশীদেরও রাতে ঘুম ভেঙে যায়।

এত টাকা তার ব্যাঙ্কে কেন জানতে চাইলে সুদীপ্ত বলেন, “আমি বলতে পারব না। রবিবার যখন রুপি তুলতে গিয়ে দেখি, এত টাকা জমা আছে। কত টাকা আমি তা করতে পারিনি। আমি গিয়েছিলাম। রাতে থানায় গিয়ে সেখান থেকে বইটি আপডেট করতে বলা হয়।’ “আমি চাই আমার আগে ব্যাঙ্কে যে পরিমাণ রুপি জমা ছিল তা একই থাকুক,” তিনি বলেন। ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সুদীপ্তের বাড়িতে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শিরীষ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ব্যাংকের ত্রুটি বা অন্য কোনো কারণে এত টাকা তার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। প্রশাসন এটা দেখুক।

আসলে কপালে থাকলে পেতে সময় লাগে না আর সেইটার সবথেকে বড় প্রমাণ হলো এই দিনমজুর। এই বিশাল অর্থের কিভাবে কোথা থেকে তার ব্যাংক একাউন্টে আসলে সেইটা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেনা। তবে এমন খবরে এলকাবাসী এক প্রকার পাগলের মতো হয়ে গেছে এবং তারা ছুটে আসছে ঐ দিনমজুরের ঘরে। সবার প্রশ্ন এই বিশাল অর্থের ভার কতখানি নিতে পারবে দিনমজুর ছেলেটি।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *