অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহননের চেষ্টা করলেন কলকাতার এক উঠতি মডেল। তবে পূর্ব যাদবপুর থানার তৎপরতায় তিনি এযাত্রায় বেঁচে যান। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে আত্মহননের চেষ্টার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। তিনি সেখানে লিখেছেন, আমি বেঁচে থাকার জন্য কঠিন লড়াই করেছি। সবকিছুর জন্য আমার পরিবার দায়ী। এখন আমি শান্তি চাই, বিদায়।
কলকাতায় ফের আত্মহননের চেষ্টা উঠতি মডেলের। প্রাণে বেঁচে গেলেও বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মডেল। আত্মহননের চেষ্টার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেছিলেন তিনি। ফে// সবুকে পরিবারের বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়ে রাতে বেশ কিছু ঘুমের ওষুধ খান। ভোররাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রের খবর, দেবলীনা দে (২৭) নামে ওই যুবতী কালনার বাসিন্দা। গত দেড় বছর ধরে তিনি মুকুন্দপুর এলাকার উত্তরিকা আবাসনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কিছু সিরিয়ালে কাজও পেয়েছেন। তবে আয় খুব বেশি হয়নি। পরিবারের সদস্যরা জানান, পরিবারের সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতো। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তারা প্রতি মাসে বাসা ভাড়া, বাবুর্চির বেতন এমনকি বাজারজাতকরণের টাকা বাবদ দশ হাজার টাকা দিতেন।
ঘটনাটি ২২শে জুন, দেবলিনার ২৭তম জন্মদিনে শেষ হয়েছিল। কালনায় তার পৈতৃক বাড়িতে একটি সন্ধ্যার পার্টির পরে, বাড়ির সমস্ত সদস্য তার বাবার কাছে একটি নতুন ফ্যাশন বুটিক খোলার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ করলেন ভাই। ফলে দেবলীনা তার ভাইয়ের সাথে ঝগড়া এমনকি মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। ওই রাতে ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপ, ফে// সবুক, ইন্সটা থেকে ব্লক করে দেন। পরদিন বিকেলে গাড়ি ভাড়া করে দেবলীনাকে কলকাতায় পাঠানো হয়। মেয়ে মুডি আর শর্ট টেম্পার, আগের দিন বাড়িতে এত অশান্তি হয়েছে। তাই মা আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেয়েটি মাকে আসতে নিষেধ করে। গতকাল, ২৪ তারিখ, নরেন্দ্রপুরের একটি বাগান বাড়িতে একটি ইনকামিং মিউজিক ভিডিও শ্যুট ছিল। সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বিকেলে কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ উধাও হয়ে যান দেবলীনা দে। সে তার মোবাইল বন্ধ করে দিল। তারপর ফে// সবুকে পরিবারের বিরুদ্ধে পোস্ট করে রাতে বেশ কিছু ঘুমের ওষুধ খায়। ভোররাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী মডেলের পোস্ট তার বন্ধুদের নজরে আসে। পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ। তারা দেখেন, মডেল ঘরে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন। জানা গেছে, অভিনেত্রী কালনার বাসিন্দা। তবে কাজের সুবাদে তিনি যাদবপুরের একটি বাসায় থাকতেন। গত শুক্রবার (২৪ জুন) কালনার বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। তিনি যাদবপুরের নিজ বাসভবনে ফিরে আত্মহননের সিদ্ধন্ত গ্রহন করেন।