সাম্প্রতিক সময়ে ইডেন কলেজের সং”ঘর্ষের ঘটনায় একের পর এক বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কলেজটির একজন ছাত্রী ইডেনের ছাত্রীদের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটাতে বাধ্য করা হয়, এমন ধরনের তথ্য প্রকাশ করার পর দেশজুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে দেশের সেরা এই মহিলা কলেজে এই ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় কলেজের নেত্রীরা, যেটা আসলেই সমাজের ঘৃণিত একটি বিষয়। এবার এই বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আব্দুন নূর তুষার, যেটা হুবুহু তুলে ধরা হলো-
একটি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি চুরি হলে বলা হয় সবাই তো করে নাই। ঘুষ খেলে বলে সবাই তো খায় না। পাচার করলে বলে সবাই তো পাচার করে না। অথচ, একটি সমাজে কখনোই সবাই চুরি করে না কিন্তু চোরের শাস্তি বিধান করে।
অপরাধীকে নেতা বানায় না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। এটাই সভ্য সমাজের লক্ষন। এখন ইডেন কলেজের বহু ছাত্রী এসে বলছেন, ‘এগুলো কিছু ছাত্রীর বেলায় হয়। পলিটিকাল রুমে হয়। সবার হয় না। সবাই তো দোষী না।”
কিন্তু সবার না হলে, যাদের হয়না তারা সবাই মিলে প্রতিবাদ ও শাস্তির ব্যবস্থা করার কথা। সেটা করেন নাই। আপনারা নিজেরা ভালো থেকে অন্যদের খারাপ হওয়াকে মেনে নিয়েছেন। যারা প্রতিবাদ করছে এখন তারাও একই কাঁঠালের বিচি ছিলো কয়েকদিন আগেও।
একটি সমাজে এই ধরনের আইনহীনতা ও জবরদস্তি থাকার অর্থ হলো এই সমাজকাঠামোয় অন্যায়ের প্রতিবিধান হয় না। যারা বলছেন সকলে দায়ী নয় তারা না বললেও আমরা জানি যে সকলে দায়ী নয়। কিন্তু দায়ীদের বিচার না চেয়ে ; দায়ীদের পেছনে ক্ষমতাবানদের পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে যা হয় যা হয় আর কি বলতেই হবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ঘৃণিত এক পরিবেশ তৈরী করেছে।
এই পরিবেশের মধ্যেও আপনি নিরাপদ ছিলেন সেটা আপনার ভাগ্য আর এখনো আপনি বিচার না চেয়ে সাফাই গাইছেন এটা আপনার মেরুদন্ডহীনতা।
অনেকে মন্তব্য করে লিখেছেন সংঘ”র্ষের ঘটনার পর কলেজটির কলঙ্কজনক অধ্যায় বেরিয়ে এলো, যেটা একপ্রকার ইতিবাচক বিষয়। কারণ দিনের পর দিন কলেজটিতে এ ধরনের অসামাজিক ঘটনা ঘটা কিছুদিনের দিনের জন্য হলেও অন্তত রহিত হবে। অন্য একজন লিখেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির কুফল বেশি সেটাই বর্তমান সময়ে পরিলক্ষিত হচ্ছে।