অনেকটা যাচ্ছেতাই পারফরমেন্স করার মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিযান শেষে ঘরে ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের টাইগাররা। প্রথম রাউন্ডে ভালো করেছে এমনটা মনে করাও সমীচিন নয় কারন ঐ দুটি দল ছিল অনেকটা পুচকে দলের মতই। ঐ দুটি দলকে পরাজিত করা ছাড়া আর কোনো সাফল্য নেই মাহমুদউল্লাহর দলের। জয়ের প্রসঙ্গ তো দূরে থাক, জয়ের জন্য সামান্যতম চেষ্টাও করেনি টাইগাররা। বিশেষ করে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ও ফিল্ডিং আন্তর্জাতিক মান পূরণ করতে পারেনি।
এই পতনের পর দল গঠনে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজনকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সম্প্রতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির মিডিয়া বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।
আর দায়িত্ব নিয়েই সুজন জানালেন, এমন বাজে পরিস্থিতি থেকে অবশ্য ঘুরে দাঁড়াবে টিম বাংলাদেশ। তবে এই প্রক্রিয়ায় তাড়াহুড়া করা যাবে না, ধৈর্য ধরতে হবে।-
সুজন বললেন, ‘তাড়াহুড়া করলে তো কিছুই হবে না। একটা ধাক্কা তো এসেছে। আমরা ভালো করিনি। এটা তো রকেট না যে হঠাৎ করেই পরিবর্তন চলে আসবে, আমরা জেতা আরম্ভ করব- এটা হবে না। সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। যারা আছে সবাই সামর্থ্যবান। বাইরে আরও কিছু ছেলে আছে। পরিবর্তন অবশ্যই হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক। জানুয়ারিতে হয়ত পরিবর্তন আসতে পারে। কিন্তু এই সিরিজ যেহেতু এত কাছে। খুব বড় পরিবর্তন হবে তা না।’
তরুণদের অন্তর্ভূক্তিতে টি-টোয়েন্টির দৈন্যদশা দূর হবে কি না প্রশ্নে জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘তরুণরা খেললেই বাংলাদেশ জিতবে এমন নয়। কিন্তু ছেলেদের তৈরি করা বড় ব্যাপার। এটা আস্তে আস্তে, পর্যায়ক্রমে করতে হবে।’
বাংলাদেশ দলের এই ধরনের পারফরমেন্সে শুধু হ’তাশ হয়নি টাইগারদের ভক্তরা তাছাড়াও সমালোচনার মুখে পড়েছে সাবেক গ্রেটদের। এই গ্রেটদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক চার জন ক্রিকেটার যার মধ্যে অন্যতম হলেন ওয়াসিম আকরাম। ঘরের খেলায় ভালো পারফরমেন্স দেখিয়ে থাকে বাংলাদেশ দল সেখানে বাইরে গিয়ে খেলায় বাংলাদেশ দলের জয়ের তুলনায় হারের পরিমান অনেক বেশি। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের এই ধরনের ভরাডুবি খেলোয়াড়েরাও বোধ হয় আশা করেনি।