ইতিহাস সৃষ্টি করে ইংল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। আর সেই থেকেই সারা বিশ্বে তাকে নিয়ে হচ্ছে বেশ মাতামাতি। এ দিকে এবার জানা গেলো নতুন খবর। সুয়েলা ব্রাভারম্যান সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। লিজ ট্রাস আরও চাপে ছিলেন। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে অশান্ত অর্থনীতি সামলাতে না পেরে অবশেষে পদত্যাগ করেন লিজ ট্রাস।
ঋষি সুনাক, যিনি এর আগে লিজ ট্রাসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছিলেন, তারপরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে এবার সদ্য পদত্যাগ করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এতে ব্রিটেনজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির রাজনীতিবিদদের অনেকেই বলছেন, সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রথম ভুল করেছেন ঋষি সুনক।
কেন পদত্যাগ করেছিলেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান?
আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়েলা তার সহকর্মীর কাছে ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে অফিসের নথি পাঠানোর পরে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পর তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি ঘটনাটিকে ‘প্রযুক্তিগত লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।
এ সময় জুয়েলা বলেন, “আমি ভুল করেছি। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি, পদত্যাগ করছি।’ সম্প্রতি পদত্যাগ করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি সংসদে একজন সহকর্মীকে ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে অফিসিয়াল নথি পাঠিয়েছিলেন। এটি একটি ‘টেকনিক্যাল লঙ্ঘন’। অতএব, আমার পক্ষে সরে যাওয়াই সঠিক হবে।”
বিরোধীদের আক্রমণ
ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে ফিরিয়ে আনার জন্য বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন। বিরোধীদের প্রশ্ন, গত সপ্তাহে যে ব্যক্তি সরকারি গোপনীয়তা বিধি লঙ্ঘন করে পদত্যাগ করেছেন, তাকে কীভাবে সরকারের শীর্ষে ফিরিয়ে আনা হলো?
প্রসঙ্গত, এ দিকে ধন সম্পদের দিক থেকেও অনেক খানিকটা এগিয়ে ঋষি সুনাক। আর এই কারনে জনমনেও তাকে নিয়ে উঠছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।