দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিতে সারাদেশের মানুষ দুঃসময়ে জীবনযাপন করছিল। একপর্যায়ে দাম মোটামুটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসে। তার কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় বিদ্যুতের ঘাটতি। যার জন্য এখনো পর্যন্ত সারা দেশের মানুষ অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছি বিশেষ করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল গুলো। তার রেশ না কাটতেই এবার শুরু হয়ে গেল জ্বালানি তেলের সংকট জানিয়ে সারা দেশে এখনো পর্যন্ত তোলপাড় চলছে। এমতাবস্থায় পরিকল্পনামন্ত্রী এরূপ মন্তব্য করায় সারাদেশে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।
পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে এখনও কেউ মারা যায়নি, বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছে। যারা আমাদের পছন্দ করেন না তারা বলছেন যে জিনিসগুলি বাড়বে, মানুষ মারা যাবে। এটা সত্য যে জিনিসের দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে এখনও জিনিসের দাম বাড়ার কারণে কেউ মারা যায়নি, আশা করি না।
তিনি বলেন, প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ দুর্ভোগে পড়ছে। যুদ্ধের কারণে তেল-গ্যাস বন্ধ হয়ে গেছে। একটি মহল বলছে তিন মাস আগে দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। আমরা বললাম না। মাত্র এক মাসের মধ্যে আমরা আগের জায়গায় ফিরে যাব।
এম এ মান্নান বলেন, আওয়ামী লীগের বিদায় ঘণ্টা বাজবে না। আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির অনেক গভীরে, তাদের টেনে তোলা অসম্ভব।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর বন্দুকের জোরে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, আওয়ামী লীগ আসেনি। আওয়ামী লীগ কোনো ঘণ্টা বাজতে ভয় পায় না।
দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি এবং জ্বালানি তেলের সংকট এবং বিদ্যুতের ঘাটতি নিয়ে সারাদেশে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিরোধীদলের নেতাদের দাবি সরকারের দুর্নীতির কারণে এ সকল ঘটনা ঘটছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলংকার মত হতে যাচ্ছে এমনই ধারণা করছে তারা। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে বিরোধী দলের নেতারা সংবাদ সম্মেলন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এ সকল মন্তব্য করছেন।