গণঅধিকার পরিষদ বাংলাদেশে সর্বশেষ লাইসেন্স পাওয়া একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন রেজা কিবরিয়া এবং সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। তবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তারা একটা ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে রাজনৈতিক দলটি শুরু করলেও দলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে, যার কারণে দলটি থেকে রেজা কিবরিয়ার সরে যাওয়ার গুন্জন শোনা যাচ্ছে।
গণঅধিকার পরিষদে এক ধরনের বিদ্রোহ চলছে। বিশেষ করে প্রবাসীদের সংগঠনগুলোর মধ্যে তহবিল ভাগাভাগি নিয়ে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দিয়েছে। এই বিরোধের প্রেক্ষিতে রেজা কিবরিয়া গণঅধিকার পরিষদ থেকে সরে যাবেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আমেরিকা থেকে দেশে আসার পর আনুষ্ঠানিকভাবে গণঅধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন তিনি। রেজা কিবরিয়া তার ঘনিষ্ঠদেরও বলেছেন, রাজনীতি তার বিষয় নয়।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন, রেজা কিবরিয়ার প্রতি বিএনপি আগ্রহী এবং তিনি বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এ কারণে তিনি গনঅধিকার পরিষদে আগ্রহ হারিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রেজা কিবরিয়া যেভাবে তার ছোট রাজনৈতিক জীবনে অতীতে কোনো ভালো রাজনৈতিক দৃষ্টান্ত না পেয়ে একের পর এক দলবদল করছেন তাতে তার রাজনীতির সমাপ্তি রেখাই দৃশ্যমান হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, রেজা কিবরিয়ার রাজনীতিতে পদার্পণ হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে। তার কোনো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল না।
২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলে রেজা কিবরিয়া গণফোরামে যোগ দেন এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানার থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে তিনি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। রেজা কিবরিয়াকে স্থানীয় বাসিন্দারা খুব একটা চেনেন না। উচ্চ শিক্ষিত অর্থনীতিবিদ মূলত বিদেশে পড়াশোনা করেছেন এবং একজন শিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। রাজনীতির মাঠে তার কোনো উপস্থিতি নেই। তাছাড়া শাহ এএমএস কিবরিয়ার মতো বিনয়ী বলেও তিনি পরিচিত নন।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তিনি গণফোরামের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। কামাল হোসেন রেজা কিবরিয়াকে গণফোরামের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন। এ নিয়ে গণফোরাম বিভক্ত। এরপর গণফোরামে আস্থা হারান রেজা কিবরিয়া।
সে সময় সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হলে তাতে যোগ দেন রেজা কিবরিয়া। তিনি গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ছাত্রদের-পরিচালিত নাগরিক অধিকার কাউন্সিলে তাকে বহিরাগত, উদ্বাস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হতে থাকে।
জানা গেছে, নুরুল হক নুর দলটি পরিচালনার জন্য রেজা কিবরিয়ার তেমন কোনো মতামত নেন না। তার মতামাত বা সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন, যেখানে সামনে রাখছেন রেজা কিবরিয়াকে। এর কারণে নুরের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় সূত্রে এমনটি জানা গেছে। এই মতবিরোধের কারনে একসময় রেজা কিবরিয়া দেশ ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি জমান। জানা গেছে তিনি এখনও সেখানে অবস্থান করছেন।
6 comments
Pingback: Browser MMORPG
Pingback: Browser MMORPG
Pingback: Browser MMORPG
Pingback: Fantasy MMORPG
Pingback: Browser MMORPG
Pingback: Fantasy MMORPG