ক্ষমতা হারানো সত্ত্বেও, ব্যাপক জনপ্রিয় ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এখন চরম সংকটে রয়েছে। ইমরান খান জেলে। তাকে নির্বাচনে বাধা দেওয়া হতে পারে। এমন আশঙ্কার মধ্যেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা উসমান দার। তিনি বলেন, গত ৯ মে যে সহিংসতা হয়েছিল তার উদ্দেশ্য ছিল সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরকে ক্ষমতাচ্যুত করা। এর আগে পিটিআইয়ের কয়েকজন নেতা পদত্যাগ করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ইমরান খানের সময়ের তথ্যমন্ত্রী এবং ইমরানের অনুগত ফাওয়াদ চৌধুরী। ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বলে পরিচিত আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইতিমধ্যেই ইমরান খানকে ছেড়ে চয়ে গেছে। তারা নতুন দল গঠনের চেষ্টা করছে। কেন দলপ্রধান এখনও ৯ই মে নিয়ে নীরব! এমন দলত্যাগী বড় নেতাদের মধ্যে আছেন ফাওয়াদ চৌধুরী, সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী শিরিন মাজারি, পারভেজ খাত্তাক প্রমুখ।
অনলাইন জিও নিউজ অনুসারে, ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উসমান দার ৯ মে ঘটনার উল্লেখ করে বুধবার দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পরে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে উসমান দার বলেন, সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরের ক্ষমতাচ্যুতই ৯ মে সহিংসতার কারণ। অন্যদিকে পিটিআই দাবি করেছে, কিছুদিন আগে উসমান দারকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর টিভিতে হাজির হয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি। উসমান দারের এক আত্মীয় একদিন আগে সিন্ধু হাইকোর্টে হাজির হয়ে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পুলিশকে মামলা করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন। তবে বুধবার হাজির হন তিনি। রাতারাতি অবস্থান পরিবর্তন করে সহিংসতার জন্য পিটিআই নেতৃত্বকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, পিটিআইতে একটি মিটিং হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং ইমরান খান। ওই বৈঠকে তাকে গ্রেপ্তার করা হলে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ কী হবে তা সিদ্ধান্ত হয়। তিনি আরও বলেন, দলের চেয়ারম্যান গ্রেফতার হলে স্পর্শকাতর স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করার নির্দেশ দেন ইমরান।