বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুকে নিথর করা হয়। এবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেও তার বাবার মত নিথর কারার চক্রান্ত চলছে বলে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। জাতীয় সংসদে স্পিকারে তার দেওয়া বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। এই বক্তব্যের পর সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ শেখ হাসিনাকে নিথর করার ষড়যন্ত্রের পিছনে আওয়ামী লীগের দলীয় অনেক লোকেরাই নাকি জড়িত রয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত একটি সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন দলের সদস্য র.ম.উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জাতীয় সংসদে সাধারণ প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন। এর প্রস্তাবে বলা হয়েছে: “এই মহান সংসদের মতামতে, আমি ঘৃণ্য খুনি ও ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি আমার গভীর ঘৃণা প্রকাশ করছি যারা বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের নির্মম ও নির্মমভাবে হত্যা করেছিল”। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের ভূত এখনো শান্ত হয়নি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে দিতে তারা এখনো তাদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের ঘৃণ্য চক্রান্ত সফল হতে পারে না। ইতিহাসের পাদদেশে দাঁড়িয়ে জাতির জনক, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের বিনম্র চিত্তে স্মরণ করছি এবং তাদের নেতৃত্বে সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করার শপথ নিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। 2022 সালের আগস্টে একাদশ জাতীয় সংসদের 29তম অধিবেশনে এটি একটি দৃঢ় বক্তব্য হোক।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর এই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকজনও এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, তবে কী ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে তা বিস্তারিত সংসদে বলতে পারব না। আমি যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারতাম, তাকে বলতে পারতাম।
আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, তার নিজের লোকজনও অর্থের জন্য ষড়যন্ত্রে জড়িত।
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনেক সময় সঠিক তথ্য দেয় না তাই তাদের উপর সম্পূর্ন ভরসা না করে । তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে তার মেকানিজম (পদ্ধতি) তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ দেন তিনি।
দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির জনিত কারনে সারাদেশে বিক্ষপ ও প্রতিবাদ সবাবেশের আয়োজন করছে বিরোধী দলের নেতার। দেশের এমন অবস্থার সুযোগ নিয়ে জনকে ক্ষেপিয়ে তুলছে তারা এমনি ধরনা করছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা। তাই হাসিনাকে আরো সতর্ক হয়ে চলার জন্য পরামর্শ দেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ।