সরকার পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনের বিকল্প কিছু নেই, এমন ধরনের মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা যদি ভাবেন আ.লীগকে ক্ষমতা থেকে আন্দোলনের মাধ্যমে হটাবেন, সেটা ভুল। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার বদল করতে হবে, এটাই নিয়ম। তাই জনগণ এই সরকারকে বদল করবে কিনা সেটা সময়ের ব্যাপার।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই- মির্জা ফখরুল সাহেব, সরকার পরিবর্তন করতে হলে সহজ কথা হলো নির্বাচনে আসা। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই।
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেউ কি কোনো প্রশ্ন করেছে? আমরা জালিয়াতি, কারচুপি, মা”রামারি-মুক্ত নির্বাচন চাই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, যারা নির্বাচন বলতে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি বোঝে, তারা ইভিএমে বিশ্বাস করে না। একদিকে তারা বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে আসবে না, অন্যদিকে ইভিএমে ভোট দেবে না। তাহলে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে এলেন না কেন? নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচন করতে হবে। জনগণই আমাদের শক্তির উৎস। জনগণ ভোট না দিলে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দেব।
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বএখন যে অস্থিরতা, বাস্তবতা তা আমাদের সৃষ্টি নয়, বিশ্ব পরিস্থিতির মূল্য দিতে হচ্ছে। এই দিন থাকবে না। সরকার জানে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এই অবস্থা থাকবে না। বাংলাদেশ কখনই শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তান হবে না, উন্নত দেশ হবে। শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
আমি লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো যোগ করে বলেন, পঁচাত্তরে একটি পরিবারের যে আত্মত্যাগ, সেটা গণতন্ত্রের জন্য। এই পরিবারের সকলের আত্মত্যাগের কারণে আজকের এই আলোকিত এবং সপ্নের বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু একটি সোনার বাংলাকে চেয়েছিলেন, যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাস্তবায়ন হচ্ছে। এটাই ছিল নিয়তি।