প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দলীয় সরকারের অ/ধীনে নির্বাচন যে সু/ষ্ঠু হয়, এবার যে কোনো মূল্যে তা প্রমাণ করতে হবে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রথম পর্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৪৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংশগ্রহণ করেন। মূলত, নির্বাচনের আগে বা পরে মাঠ পর্যায়ে ভালো পরিস্থিতি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় ও সরাসরি পদক্ষেপের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।
উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এরপর সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়। বিএনপির দাবি, দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। ফলস্বরূপ, তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল। এরপর নানা নাটকীয়তা ও সংলাপের পর অবশেষে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। তবে ওই নির্বাচনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র সাতটি আসন। তারা তখন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে, কারচুপির অভিযোগ করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংসদে যায়। আর আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে। তবে এবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছে না দলটি। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। তাদের উত্তাপের মধ্যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ নভেম্বর ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি এবং এর মতো- এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করে মনোভাবাপন্ন দলগুলো তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ ২৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।