বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে সভা সমাবেশ করার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে। তবে সরকারের সে বিষয়ে কোনো টনক নড়ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকদিন আগে বলা হয়েছে, বিদেশে খালেদা জিয়াকে পাঠানোর কোনো আইনি দিক নেই। এদিকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহন করার মাধ্যমে খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে কথা বলে থাকেন এবং তার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলে থাকেন। কিন্তু তিনি এবার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।
রোববার (২ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সদ্য সমাপ্ত ৩২ জেলার কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মসূচি নিয়ে তার বক্তব্য শেষে দলীয় প্রধানের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বিষয়টি এড়িয়ে যান।
তার ভাষ্য, যে ইস্যুতে আজ এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে, অন্য বিষয়ে কথা বললে এই ইস্যুটা চাপা পড়ে যাবে। দলের কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের স’ন্ত্রা/সী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধের বিষয়টি গণমাধ্যমে যাতে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ পায় সেজন্য তিনি খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির বিষয়টি এড়িয়ে যান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ম্যাডামের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্য সময় কথা বলবো।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
প্রসংগত, বিএনপি সভানেত্রী বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে বিএনপি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিএনপি দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সমস্যার মুখোমুখি। কারন, এদিকে তাদের নেত্রীর শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যেটা নিয়ে দল ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তাকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে। অন্যদিকে, সামনে নির্বাচন যেখানে সরকারের নিকট নানা দাবি রয়েছে বিএনপির যে লক্ষ্যে আন্দোলন দরকার। এদিকে নেতৃত্বহীন অবস্থা তৃণমূল পর্যায় থেকে সক্রিয়তার বিষয়টি মুখ থুবড়ে পড়ছে।