নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেইসাথে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের একটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এসকল নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে, কোন ধরনের কারচুপি বরদাশত করা হবে না। নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, রাতের ভোট আর কখনো অনুষ্ঠিত হবে না, কেউ দেখবে না এটি। এবার একটি ইউনিয়নের ভোট স্থগিত করে দিলেন নির্বাচন কমিশন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী ( Banshkhali ) উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের ১৫ জুন ( June ) অনুষ্ঠেয় ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ( Awami League ) একইসঙ্গে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর ( Mujibul Haque Chowdhury ) বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
রোববার কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ইসির যুগ্ম সচিব ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুন দেশের ১৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে চাম্বল ইউনিয়ন অন্যতম। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী মজিবুল হক চৌধুরীর বক্তব্যের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে”সবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মুজিবুল হক আঞ্চলিক ভাষায় ভোটারদের বলছেন- ‘ইভিএমে ভোট না হলে রাতেই সব ভোট নিয়ে নিতেন তিনি। আইডি যাচাই করে ইভিএমে ভোট দিতে হয়, কষ্ট করে কার্ড নিয়ে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দিতে হয়। ছাপ দিতে না জানলে সেখানে তিনি ছাপ দেওয়ার জন্যে মানুষ রাখবেন।’’
৩১ মে এক প্রজ্ঞাপনে ইসি বলেছে, ‘‘ইভিএমে ভোট সম্পর্কে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর ফে”সবুকে অপপ্রচারের বিষয়ে প্রকৃত তথ্য যাচাই-বাছাই করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, চট্টগ্রামকে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন ইসিতে উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ইউপি নির্বাচন স্থগিত ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
তবে এখন দেখার বিষয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কি ধরনের ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের সিদ্ধান্তে খুশি এলাকার ভোটাররা। একজন প্রার্থীর এই ধরনের প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।