গাড়ি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানার ভেতরেই এবার হে’ন’স্থা’র শিকার হলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সাড়া জাগানো তারকা দম্পতি জীতু কমল এবং স্ত্রীর নবনীতা দাস। এ ঘটনায় গোটা বিনোদন অঙ্গনজুড়ে শুরু শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল।
দেশটির সংবাদ মাধ্যমের একটি সূত্র জানায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিমতা থানার কাছে পণ্যবাহী আরেকটি গাড়ি তাদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এরপর শুরু হয় তর্কাতর্কি। পরে উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
নবনীতা ও জিতুর অভিযোগ, সেখানে তারা পুলিশের সামনে তাদের’ হ”’ত্যা’র হুম’কি দেয় এমনকি নবনীতাকে ”ধ”র্ষ”’ণ” করার; হু;;ম;কি; দেয়া হয়। পুলিশ কোনো বাধা ছাড়াই তাদের ছেড়ে দেয়। এরপর থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ওই থানায় আটকে ছিলেন জিতু ও তার স্ত্রী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। এমনকি তিনি কেঁদেছিলেন। সেখানে পুলিশি হয়রানির কথাও তুলে ধরেন তারা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন অভিনেতা জিতু কামাল ও তার স্ত্রী নবনীতা দাস। এ সময় নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ে একটি পণ্যবাহী গাড়ি তাদের গাড়িকে ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ তাদের। এ সময় অভিনেতার গাড়ির চালক গাড়ি থামানোর চেষ্টা করলে তাকে গাড়ি চাপা দেয়।
এরপর অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অভিযোগ জানাতে গেলে বেশ কিছুক্ষণ থানায় অপেক্ষা করতে হয় এবং ওই সময় তাদের গাড়ি চালকদের হয়’রা’নি করা হয়। তা দেখে তারা ছুটে এসে তাদের ড্রাইভারকে থানায় নিয়ে যায়, থানার গেটের সামনে অভিনেত্রীকে ‘হ”’ত্যা”’র’ ‘হু’ম’কি দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জিতু ও নবনীতা।
নবনীতা লাইভে জানান, পুলিশের সামনে গুণী অভিনেত্রীর স’তীত্ব কেড়ে নেয়ার ও ‘মে”’রে’ ‘ফে”লা’র হুম’কি দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ তাদের কিছুই বলে না। এমনকি ওই যুবকদের ভয়ে থানা ছাড়তেও ভয় পাচ্ছেন তিনি। এ কারণে তারা দীর্ঘক্ষণ থানায় বসে থাকেন। সেখান থেকে লাইভে এসে অভিনেত্রী জানান, তার খারাপ লাগছে কিন্তু তিনি থানা ছেড়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
এরপর একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে এ বিষয়ে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এই অভিনেত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আর এরই জের ধরে ওই গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।