বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার তরুণের স্বপ্ন ইউরোপে যাওয়ার। বুলগেরিয়া বর্তমানে ইতালি, পর্তুগাল এবং যুক্তরাজ্যের বাইরে ইউরোপে ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশ। দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি ভালো বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ করছে।
তবে বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া ও পথসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জটিল প্রক্রিয়া রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে দেশটি। কিন্তু দেশে যাওয়ার আগে জানতে হবে কোন ক্যাটাগরির কর্মী যেতে পারবেন, বেতন কত হবে, কী প্রক্রিয়াকরণ অনুসরণ করতে হবে এবং কত টাকা খরচ হবে।
বুলগেরিয়া যেতে কত খরচ হবে?
বুলগেরিয়া ভ্রমণের জন্য কত খরচ হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি যে ভিসার জন্য আবেদন করছেন তার উপর। আমাদের দেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষই বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসায় যায়।
বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যেতে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগে। তাছাড়া, বুলগেরিয়াতে যদি আপনার পরিচিত কেউ থাকে এবং সেই ব্যক্তি ভিসা পাঠায়, তাহলে আপনি কম খরচে যেতে পারেন।
তাছাড়া বুলগেরিয়ার বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইটে গিয়ে অথবা নিজে নিজে চাকরির জন্য আবেদন করলে কম খরচে বুলগেরিয়া যেতে পারেন।
বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা
বর্তমানে, আপনি শুধুমাত্র একটি গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে বুলগেরিয়া যেতে পারেন যেখানে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার এসেছে। এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়েই এই ভিসায় যেতে পারবেন।
নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য আলাদা চাকরি আছে। আপনি বুলগেরিয়ায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে ৩টি ক্যাটাগরিতে যেতে পারেন। যেমন- সুইং মেশিন অপারেটর (মহিলাদের জন্য), টেক্সটাইল টেইলর (পুরুষদের জন্য) এবং আয়রন মেশিন অপারেটর (মহিলাদের জন্য)।
নারী ও পুরুষের বয়সসীমা ২০ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত নির্ধারিত। অর্থাৎ, আপনার পাসপোর্টের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে। আপনার বয়স ৩৫ বছরের বেশি এবং ২০ বছরের কম হলে আপনি যেতে পারবেন না।
বুলগেরিয়াতে বেতন কত?
বাংলাদেশ থেকে যারা গার্মেন্টস কর্মী বা অন্য কাজে বুলগেরিয়া যাবেন তাদের বেতন সাধারণত ৫০০ ইউরো থেকে ৬০০ ইউরো। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় আপনি বুলগেরিয়ায় মাসে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।
আপনার কাজের দক্ষতা যত বেশি হবে বেতন ধীরে ধীরে বাড়বে। এছাড়া ওভারটাইম কাজ করে আপনি আপনার বেতনে কিছু অতিরিক্ত অর্থ যোগ করতে পারেন।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের আবাসনের পুরো খরচ কোম্পানি বহন করবে এবং খাবার খরচ কিছু কোম্পানি বহন করবে। এছাড়া কোম্পানিটি বুলগেরিয়া যাওয়ার জন্য প্লেন ভাড়া দিয়ে থাকে।