Friday , December 13 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক জায়গায় আটকের শিকার হয়েছেন শায়খ আহমদুল্লাহ

ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক জায়গায় আটকের শিকার হয়েছেন শায়খ আহমদুল্লাহ

ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতির দরকার যোগ্য লিডারশিপ বলে মন্তব্য করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমদুল্লাহ বলেন, বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। তাদের যোগ্য নেতৃত্ব দরকার। তাহলে তারা বাংলাদেশকে সোনার টুকরোতে পরিণত করতে পারবে। এদেশের মানুষের ভালো কাজের প্রতি অদম্য আবেগ রয়েছে। বন্যায় যেমন আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে দেখেছি। এভাবেই অন্য সবক্ষেত্রে আমরা তা দেখেছি।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ও কুসাখালী ইউনিয়নে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ আহমদুল্লাহ বলেন, একজন মুসলমান কখনো স্বার্থপর হতে পারে না। আমরা স্বার্থপর হব না। বন্যা দুর্গত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে ধর্ম, বর্ণ, দল নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনার বাসায় একটা ত্রাণ এসেছে। আবার আসলে আপনি নেবেন না। যে বাসায় পায়নি, তাদের দেখিয়ে দেন। ত্রাণ বিতরণে স্থানীয়দের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বন্যার্তদের ত্রাণ প্রদান প্রসঙ্গে আহমাদুল্লাহ বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ১৫-১৮টি কাভার্ড ভ্যান ভর্তি করে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। শুধু এ অঞ্চল নয় খুলনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমরা ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছি। যেখানে আমরা পৌঁছতে পারছি না, সেখানে সেনাবাহিনীর কাছে আমরা মালামাল দিয়ে দিয়েছি। আমি অনুরোধ করবো, সবাই এসব অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়ান। সাধ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের কষ্ট দূর করতে চেষ্টা করেন।

যারা ত্রাণ নিয়ে আসছেন তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতেও তিনি এলাকাবাসীকে বলেন। অনেক জায়গায় কেউ কেউ ত্রাণ লুট করছে। এটা করলে তোমার বদনাম হবে। আপনার পাশে দাঁড়ানো থেকে মানুষ দূরে সরে যাবে। ত্রাণ নিয়ে আসার সময় আমাদের কয়েক জায়গায় আটকানো হয়েছে, মালামাল রেখে দেবে বলে। পরে আমাকে দেখে বলে, মালামাল না দিলেও হবে, মুসাহাবা (করমর্দন) করলেই হবে। স্থানীয় মানুষদের বলবো, যারা বাহির থেকে ত্রাণ দিতে আসে, তাদেরকে শ্রদ্ধা করেন। পারলে একবেলা খাওয়াবেন। তাদেরকে রাস্তা দেখিয়ে দেবেন। সব নিজের এলাকার দিকে টেনে নেবেন না। যেখানে প্রয়োজন, সেখানে পাঠিয়ে দেবেন।

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীর মোড় থেকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত সড়কে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ি যাতে গর্তে না পড়ে, গাড়ি কোন দিক দিয়ে যাবে তাও দেখিয়ে দিচ্ছেন তারা। পুরো রাস্তা জুড়ে এমন দৃশ্য ছিল। এমন দৃশ্য বাংলাদেশে আগে কখনো দেখা যায়নি।

এ সময় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সদরের শহর কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুশাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এ্যানি চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষসহ আশপাশের মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

About Nasimul Islam

Check Also

মাত্র ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ দখলের হুমকি, উত্তেজনা পশ্চিমবঙ্গে

পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ‍্যালঘু সেলের মালদা জেলা সভাপতি টিঙ্কু রহমান বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক বিতর্কিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *