কামরুল ইসলাম হলেন বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। এছাড়াও তিনি ঢাকা-২ আসন থেকে নির্বাচিত একজন মাননীয় সংসদ সদস্য। কামরুল ইসলাম খাদ্যমন্ত্রী হিসেবেও সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে গেছেন। দলের প্রতি শ্রদ্ধাশহিল থেকে দলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছে বিএনপি।
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম বলেছেন, দেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপ দেখেছে। তারা তিন মাসের জন্য ক্ষমতায় এসে দুই বছর দেশের মানুষকে কষ্ট দিয়েছে।
তারা শুধু আওয়ামী লীগ নয়, সব পেশার মানুষকে নির্যাতন করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছে বিএনপি। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নই আসে না।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শরদীয়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে উপহার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। স্বৈরাচারী জিয়া ও এরশাদ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্থান দিয়ে দেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। দেশে আবারও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিমের সভাপতিত্বে, মডেল থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিউল আজম খান বারকু, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন-অর-রশিদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপি বাংলাদেশের একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল হওয়াতে তারা আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ করে তাদের কর্মসূচী পালন করছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে দলটি নানারকম দ্বিমত পোষণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। তারা বলেছেন এই নির্বাচন হতে হবে নিরেপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে এবং সেই সাথে আরো উল্লেখ করেছেন যে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না।