গত মঙ্গলবার ১৯ জুলাই জেকেজি হেলথকেয়ারের নমুনা পরীক্ষা জালিয়াতির মামলার রায়ের পর দণ্ডপ্রাপ্ত বিপ্লব দাসের বোন লিপি রানী তার ভাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোর ১৪ গোষ্ঠীর কেউই পড়াশোনা করেনি তোর পড়াশুনার কি দরকার ছিল? আমি না পড়লে এই অবস্থা হতো না।
এ মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা মো. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত আট আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর লিপি রানী দাস আদালত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি কখনো ঢাকা যাইনি। রাতে ঢাকায় আসি। সকালে আদালতে আসছি। এখন শুনলাম তোর সাজা হয়েছে। এই জন্য কি আমি তোমাকে পড়াশুনা করিয়েছি? ঢাকায় পড়তে এসেছিস কেন? তোর ১৪ গোষ্ঠীর কেউই পড়াশোনা করেনি তোর পড়াশুনার কি দরকার ছিল? না পড়লে এ অবস্থা হতো না।
বিপ্লব দাসের বাবা রঞ্জিত দাস কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা বোকা মানুষ। দরিদ্র মানুষের বাসস্থান ও খাবারের ব্যবস্থা করতে বিপ্লব ঢাকায় আসেন। ৯ দিন ধরে কাজ করছে। সন্দেহজনকভাবে তাকে ধরে থানায় নিয়ে আসে এবং আদালতে পাঠিয়ে দেয়। আমাদের গোত্রের কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। ছেলেকে ঢাকায় না পাঠালে হয়তো এ অবস্থা হতো না।
নিজের ছেলেকে নিরাপরাধ দাবি করছে স্বজনরা। তারা তার ছেলে বিপ্লব দাসের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।