আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারধরের বিষয়ে অভিযুক্ত হন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ( Chhatra League )ের ( Central Chhatra League ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন( Benazir Hossain ) নিশির। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত( Past ) (০২ মার্চ) উক্ত ঘটনাটিকে তদন্ত্যের ভার দেওয়া হয় পুলিশকে। ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে ( police. Bureau Investigation ) পিবিআই ( PBI )প্রতিবেদনটি দাখিলের নির্দেশ দেন ঢাকার( Dhaka ) মেট্রোপলিটনের ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তী।
মা’রধরের অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের( League ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশি( Night )র বিরুদ্ধে আরও একটি মাম’লা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার ঢাকার( Dhaka ) মহানগর হাকিম শুভ্র চক্রবর্তীর ( Hakim Shuvro Chakraborty ) আদালত মামলাটি তদন্ত করে ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে( Bureau Investigation ) পিবিআই ( PBI ) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ( Chhatra League )ের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. এহসানুল হক ( Md. Ehsanul Haque ) ওরফে ইয়াসির গ ২৪ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ওই দিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য আজ ২ মার্চ ( March ) দিন ধার্য করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২১শে ফেব্রুয়ারি ( February ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইয়াসির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান। এরপর দুপুর( Noon ) সোয়া ১টার( ১টার ) দিকে মূল ভবনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শহীদ মিনারের বেদিতে আসামিরা ভিকটিম ইয়াসিরের মাথায় হাতের মোবাইল ফোন দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘা’ত করে এবং বলতে থাকে, তোর এত বড় সাহস আমাকে ধাক্কা দিস, তুই আমাকে চিনিস, আমি ছাত্রলীগ( Chhatra League ) নেত্রী নিশি, আমি তোকে মেরেই ফেলবো। এ সময় ইয়াসির নিশিকে ( Yasir Nishike ) ধাক্কা দেয়নি বরং নিশি তাকে আঘাত করেছে বলে জানান ভুক্তভোগী ইয়াসির।
এতে তার মাথায় আঘা’ত প্রা্প্ত হন। ইয়াসির সেই সময় শহীদ মিনারের মেঝেতে পড়ে যায়। এরপর আসা’মিরা ভিকটিমকে ছিনিয়ে নেয়। ইয়াসিরের মানিব্যাগ নিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি মা’রতে থাকে এবং ইয়াসিরের গলা চেপে ধরে বলতে থাকে আজ তোকে মেরে ফেলবে, দেখি কে বাঁচায়। এর ফলে ভুক্তভোগী ইয়াসির অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এর আগে নিশির বিরুদ্ধে মা’রধরের অভিযোগে মামলা হয় ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের প্রাঙ্গণে ফাল্গুনী দাস তানভী নামে এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে কু’/পিয়ে আহ’ত করে। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। পরে নিশি ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরো’য়ানা জারি করেন আদালত। এরপর তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশির এর আগেও মা’রামা/রিকে কেন্দ্র করে সমালোচনায় এসেছিলেন। গত ২০ ডিসেম্বর ২০২০ এ রাতের বেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে ফাল্গুনী দাস তন্বীকে আহ’ত করে মামলার মুখোমুখি হয়ে জামিনে মূক্তি পান। সম্প্রতি ইয়াসির নামের একজন ভুক্তভোগীকে তার নি’/ষ্ঠুরতার রুপ দেখিয়ে শহীদ মিনারে অনুরুপ আরো একটি সমালোচিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ছা্ত্রলীগ নেত্রী নিশির।