ডিশ ব্যবসায়ী থেকে নিজের মনের একাগ্রতার জোরে চলচ্চিত্র জগতেও নাম লেখান হিরো আলম। তিনি অভিনয়ের পর তার ভিন্ন ধরনের অভিনয়ের জন্য আলোচনায়ও আসেন। বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতির সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি গান গেয়েছেন যেগুলো ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে। তার গাওয়া এই সকল গান নিয়ে শ্রোতাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার। কয়েকদিন আগে হিরো আলমের গাওয়া সেই গান নিয়ে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসানের একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে।
অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরাদ হাসান বলেন, ‘হিরো আলমেরও নিশ্চয় দর্শকশ্রোতা আছে। এ কারণেই হয়তো ওকে ইউটিউবে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায়। হিরো আলম একদিন একটি অনুষ্ঠানে এসেছিল, আমি জায়গাটার নাম না-ই বললাম। সে আমার সামনে গান গাচ্ছিল। আমাকে ঠিকমতো চিনতে পারে নাই। গান শেষে আমি বললাম, ‘তোমার কী কোনো লজ্জা শরম নাই? তুমি যে গান গাইতে পারো না… গান গাইতে হলে সুর, তাল, লয় লাগবে, কণ্ঠও লাগবে। তোমার চেহারা এবং কণ্ঠ এত সুন্দর (!) আমার সামনে গান গাওয়ার যে ধৃষ্টতা তুমি দেখাইলা… সেটা আমাদের সামনে না দেখাইয়া… যে নিম্নশ্রেণির মানুষরা তোমাকে দেখে…. ওদের সামনে যায়া গান গাইবা।’
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন মন্তব্য করায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে রাত ৮টার দিকে প্রতিমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ করার বার্তা পৌঁছে দেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদের অবমাননাকর মন্তব্যের বিষয়ে সরকারের কাছে তার অবস্থানের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি। প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগের পর ক্ষমা চান প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যদের কাছে।