রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানে মোহাম্মদ আলী নামের একজন ব্যবসায়ী নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। ইউসুফ নামে তার ৯ বছর বয়সী ছেলেকে দোকানের দায়িত্ব দিয়ে তিনি নামাজ পড়ার জন্য বেরিয়ে যান। শেষে ফিরে এসে তিনি যা দেখলেন তা তিনি নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারেননি। দেখেন তার ছোট্ট ছেলেটি ছু”রিকাঘাতে আহত হয় পড়ে আছে। গতকাল বুধবার অর্থাৎ ২৪ আগস্ট বিকেলের দিকে আগে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট এ ধরনের এ ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ আলী ওই বাজারের ব্যবসায়ী। ইউসুফ তার দুই সন্তানের মধ্যে বড়। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
ঘটনার পর ইউসুফকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার হাতে, পায়ে ও পেটে ছু”রিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই বাজারের আরেক ব্যবসায়ী সাইফুল (৩৫) তার ছেলেকে বেধড়ক ছু”রি’কাঘাত করেন বলে অভিযোগ করেন মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, আমি নামাজ থেকে ফিরে আসার সময় সাইফুল আমাকে বলে, ‘তোকে তো মারতে পারিনি, তাই তোর ছেলেকে মেরে দিয়ে এসেছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে ইউসুফ তার নানীকে নিয়ে দোকানে আসেন। তারপর ইউসুফ দোকানে বসে তার বাবা ও নানা নামাজ পড়তে গেল। এরপর সাইফুল দোকান থেকে ইউসুফকে ডেকে ছু”রিকাঘাত করে। ইউসুফের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ ওঠা সাইফুলের কাছ কোনো ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনা ঘটার পর থেকেই সাইফুল পলাতক। মৌদুত হাওলাদার যিনি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, ওই মার্কেট এবং হাসপাতাল- দুই স্থানে পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।