ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করার জেরে গত বছর কয়েক আগেই ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীদের হাতে নি’র্মমভা’বে নি’হত হন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অন্যতম মেধাবি শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। পরবর্তীতে এ ঘটনায় দায়ের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বেশ কয়েকজনকে।
তবে এ ঘটনার রেশ কাটতেই এবার রাবিতে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে হলের মধ্যে আটকে রেখে শা’রীরি’ক ও মান’সিক নি’র্যা’তন এবং ‘গ’লা’য় ‘ছু”রি চেপে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার শিকার সামছুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
ভুক্তভোগী সামছুল জানান, গতকাল (১৯ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া নির্যাতনের ঘটনা সাংবাদিক বা পুলিশকে জানালে তাকেও বুয়েটের আবরার ফাহাদের মতো ‘হ”ত্যা”র হু’মকি দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ভাস্কর সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মতিহার হল শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী।
ভুক্তভোগী ছাত্র সামছুল অভিযোগ করে বলেন, নিজের লেখাপড়ার পাশাপাশি মোবাইল সার্ভিসিং করে সংসার চালাচ্ছেন এবং ছোট ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচও বহন করছেন। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা ভাস্কর সাহা ওই কক্ষে ডেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভাস্কর সাহা ও তার দুই সহযোগী ভিকটিমকে বিকাল ৩টা থেকে ৬টা (৩ ঘণ্টা) আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নি’র্যাত’ন চালায়।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্র জানায়, ওই সময় ছাত্রলীগ নেতা তার ‘গ’লা’য় ‘ছু’রি’ দিয়ে তা’র কাছে থাকা মোবাইল ফোন সার্ভিসিং-এর প্রায় ২০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এ ছাড়া নির্যাতনের কথা সাংবাদিক বা পুলিশকে জানালে বুয়েটের আবরার ফাহাদের মতো তাকেও ‘হ”’ত্যা”র হুমকি দেন আসামি ভাস্কর সাহা।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ভাস্কর সাহা বলেন, কারো প্ররোচনায় আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করা হচ্ছে। আমি কারো কাছে চাঁদা দাবি করিনি। এমনকি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও করিনি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এদিকে এ বিষয়ে রাবির প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে দাবি করেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন তিনি। সেই আলোকে তদন্ত চালিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।